রাশিদ রিয়াজ : একসঙ্গে বিজেপি থেকে পদত্যাগী এসব মুসলিম নেতা বলছেন, মোদী সরকারের উচিত হিন্দু-মুসলিম বিতর্ক থেকে নজর সরিয়ে ভারতের অর্থনীতি ও বেকারত্বের দিকে তাকানো। রয়েছেন ইন্দোর, খড়গাঁও ও দিওয়াসের মুসলিম নেতা যাদের গণ-পদত্যাগ গোটা ভারতে আলোড়ন ফেলেছে। টেলিগ্রাফ
বিজেপির-র ইন্দোর শাখার নেতা ওয়াসিম ইকবাল খানের কথায়, তিন তালাক, রাম মন্দির, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির মতো সিদ্ধান্তের পর মুসলিম সমাজ থেকে আমরা মুখ ঘুরিয়ে রাখতে পারি না। সিএএ এবং এনআরসি’ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসলে ১৫ শতাংশ মানুষের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ মানুষের মনে ঘৃণা তৈরির একটি কৌশল। বিজেপি নেতাদের এই মনোভাব কাম্য ছিলো না।
আরেক বিজেপি নেতা রাজিক কুরেশি ফারসিওয়ালা বলেন ধর্মের ভিত্তিতে এধরনের বিভক্ত আইন করা হয়েছে। এরফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের অবস্থানই কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা আমাদের অভিশাপ দিয়ে বলছেন কতদিন আমরা এধরনের বিভক্ত আইনের ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকব।
রাজিক কুরেশি আরো বলেন, যে কোনো সম্প্রদায়ের নিপীড়িত শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি কেবল ধর্মের ভিত্তিতেই অনুপ্রবেশকারী বা সন্ত্রাসী হতে পারে না।
পদত্যাগী নেতারা বিজেপি’র সভাপতির কাছে চিঠিতে লিখেছেন, ভারতের সংবিধানের ১৪ ধারা অনুযায়ী সকল নাগরিককে সমান অধিকার দেয়া আছে। কিন্তু সিএএ বা এনআরসি’র মত আইন ধর্মের ভিত্তিতে ভারতীয়দের বিভক্ত করছে।