লাইজুল ইসলাম : বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় এসেছে বাণিজ্যমেলায় ধুমপানের কারণে সমস্যা হচ্ছে নারি ও শিশুদের। এই বিষয়ে প্রশাষনের হস্তক্ষেপও কামনা করেছে অনেকে। তবে ধুমপাইরা বলছেন, বাণিজ্যমেলায় অতিঅবশ্যই ধুমপানের জন্য আলাদা জোন করা প্রয়োজন।
আইন অনুযায়ী উন্মুক্ত স্থানে, মেলা ও লোকসমাগম এলাকায় ধুমপান করলে ২০০ টাকা জরিপানা অথবা জেল দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু নানাবিধ কারণে এই আইনটি প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে করনীয় কি?
মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বলেন, সিগারেট নিষিদ্ধ করা হলেও সবাই তো টয়লেটের সামনে গিয়ে খাচ্ছে। এদের জন্য ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হচ্চে কোমলমতি শিশুরা। যারা ধুমপায়ি না তার বিভিন্ন সময় বিরক্তির মুখোমুখি হচ্চে। আর মেয়েরা বিভিন্ন সময় বিড়ম্বনার সিকার হচ্ছে।
তবে যারা ধূমপান করেন তারা জানান, এখানে যারা কাজ করেন তারা কোথায় যাবেন। যদিও ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তারপর যারা আসক্ত তারা কি করবে। এছাড়া যারা এখানে আসেন তিন চার ঘন্টা ঘুড়তেই সময় লেগে যায়। তাদের ধুমপান করতে হতেই পারে। সেজন্য বাণিজ্যমেলায় একটি জোন করা প্রয়োজন যেখানে ধুমপানের অনুমতি থাকবে। এতে করে এতসব বিড়ম্বনার কথা কাউকেই শুনতে হবে না।
বাণিজ্যমেলার তত্ববধায়ক আবদুর রোউফ বলেন, পাবলিক প্লেসে ধুমপান নিষিদ্ধ। এটা করলে আইনগত ভাবে জরিমানার ব্যবস্থা আছে। তবে এটি একটি দিক যে ধুমপানের জন্য একটি কর্ণার করে দেয়াত যেতে পারে। কিন্তু এতে উৎসাহিত করাও হতে পারে। সব মিলিয়ে এটি একটি সমস্যাই বটে।
রউফ বলেন, প্রশাসণকে বলা হয়েছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। আমি আবারও কথা বলবো। তবে জনগণকে সচেতন করে তোলা জরুরী। আগামীতে বাণিজ্যমেলায় সিগারেট জোন করার বিষয়টি উর্দ্ধতন মহলের কাছে তুলে ধরা হবে। তবে এতে আইনি একটি ঝামেলা রয়েছে।