মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : নতুন বছরের সূচনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের অর্থপাচারের বিষয়টি অধিকাংশ মানুষের সম্বিৎ জাগিয়েছে। এতে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশিত খবরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয়ে বিশেষত কানাডা প্রবাসীরা বিষম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা কমিউনিটির ইমেজ রক্ষায় সামাজিক মিডিয়ায় ‘সামাজিক আপদ’ হিসেবে বিবেচিত দোষীদের বয়কটের প্রত্যয়টিও ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে তারা ‘ইনভেস্টর’ বা বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরিতে অভিবাসীদের প্রলুব্ধ করায় অশনাক্ত অসৎ ‘ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট’ ও ‘মানি রেমিটর’দেরও দোষারোপ করতে ছাড়েননি। তবু বর্হিবিশ্ব থেকে কালো টাকা আসা প্রতিরোধে কানাডা যেন শিক্ষানবিশ, পক্ষান্তরে বাংলাদেশ বরাবরের মতো অসহায়।
ইতিপূর্বে কানাডায় অপ্রতিরোধ্য অর্থপাচারের বিষয়টি গণমাধ্যমের কারণে মূলধারায় ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে বর্হিবিশ্ব থেকে আসা কালো টাকার প্রভাবে টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারের আবাসিক সংকটের আবর্তে অর্থনীতির তেজীভাবটিও হয় উন্মোচিত।
সে জন্য সামগ্রিকভাবে উন্নত দেশে অনুন্নত দেশের অর্থপাচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাংক, সরকার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সমূহকে একটি সমন্বিত ও জোরালো কর্মপন্থায় প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও অর্থপাচার সংক্রান্ত আচরণবিধি লংঘনের তদারকি করাটা অত্যাবশ্যক। তাতে রাষ্ট্রসমূহের টেকসইপূর্ণ সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব এবং বিশ্বায়নের যুগে সরকারের ভূমিকাই সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন :