শিরোনাম
◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:৫৬ রাত
আপডেট : ২৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোয়ালন্দে শুকনো মৌসুমেও পদ্মা নদীতে ভাঙন, ফসলি জমি নদীগর্ভে

ইউসুফ মিয়া ও কামাল হোসেন : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুিন্সপাড়া ও কাওয়াজানি গ্রামে শুকনো মৌসুমে হঠাৎ করেই পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।

গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। প্রতি বছর পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন কবলে পরে শতশত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ছে। নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে শতশত একর ফসলি জমি ও বসতভিটা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা তীরবর্তী দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, কাওয়াজানি এলাকায় একের পর এক বড় বড় আকৃতির মাটির চাপ ভেঙ্গে পরছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে টমেটো, বেগুন, পেঁয়াজ-রসুন, সরিষা, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি।

ভাঙনকবলিত এলাকার আমেনা বেগম বলেন, তিন মাস আগের ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে মনের চাপা কষ্ট আর বুকভরা বেদনা নিয়ে অন্যের জমিতে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কুরে ঘরে বসবাস করছিলাম। ঐ সময়ের ভাঙন থেকে রেহাই পাওয়া ১২শতাংশ জমিতে টমেটোর চাষ করেছিলাম। অসময়ে হঠাৎ নদী ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে আমার শেষ সম্বল টুকু। এখন আমার দারানোর কোন জায়গা নেই ।

পদ্মা পারের হামিদা পারভীন জানান, ভাঙন মৌসুমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা নদী শাসনের আশ্বাস দিলেও তার কোনো বাস্তবায়ন নেই। যে কারণে প্রতিবছর পদ্মা নদীর ভাঙনে বসতি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে যায়। আর নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে গৃহহীন হয়ে রাস্তার পাশে বসবাস করছি আমরা অনেকে। এখন শুকনো মৌসুম। নদী শাসন করার উপযুক্ত সময়। কিন্ত নদী শাসনের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আমরা কোনো চাউল বা গম চাই না, চাই নদী শাসন। এটা আমাদের প্রাণের দাবি।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নদীর পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমের মতই অসময়ে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এরইমধ্যে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অবশিষ্ট যে এলাকাটুকু রয়েছে তা প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে বার বার বলা সত্যেও বিভিন্ন অযুহাত ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের। অচিরেই নদী শাসনের দাবি জানান তিনিও।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো’র) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে শুষ্ক মৌসুমে হঠাৎ পদ্মার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙনকবলিত মুন্সী বাজার ও কাওয়াজানি এলাকাটি বি.আই.ডব্লিটি.এ. এর একটি প্রকল্পের আওতায় পড়েছে। ঐ প্রকল্পটি পাশ হলেই কাজ শুরু করা হবে। তবে আশা করা যাচ্ছে এ মাসের মধ্যেই প্রকল্পটি পাস হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়