ইমরুল শাহেদ : নরওয়ের জোট সরকার থেকে প্রোগ্রেসিভ পার্টি সরে যাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী ইমা সোলবার্গের সরকারের পরিসর কিছুটা সংকুচিত হয়ে এসেছে। এখন সংখ্যালঘু সরকারই দেশ শাসন করতে থাকবে। দি লোকাল
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নরওয়ের একজন নারীকে মানবিক কারণে দেশে ফিরিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে মতদ্বৈততার সৃষ্টি হলে দেশটির জোট ভেঙ্গে যায়। প্রধানমন্ত্রী ইমা সোলবার্গের জোটে ছয় বছর দুই মাস থাকার পর প্রোগ্রেস পার্টি জোট থেকে সরে গেল। এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতা সিভ জেনসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এনআরকে বা নরওয়েজিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে জেনসেন বলেন, ‘আমিই প্রোগ্রেসিভ পার্টিকে সরকারে নিয়ে এসেছিলাম, আমিই আবার বের করে নিয়ে গেলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটাই আমাদের জন্য সঠিক পথ। আমাদের রাজনীতি এখন আর কাজে লাগানো হচ্ছে না।’
ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন নারীকে মানবিক কারণে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার পক্ষে ছিলো সরকার। কিন্তু প্রোগ্রেস পার্টি বলেছে, নারীর পাঁচ বছরের অসুস্থ সন্তানটিকেই কেবল ফিরিয়ে আনা হোক, সন্তানের মাকে নয়।
জেনসেন বলেছেন, দলটি প্রধানমন্ত্রী সোলবার্গকে সমর্থন দিয়ে যাবেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে চাই না। আমরা বিশ্বাস করি সোলবার্গ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সঠিক মানুষ। আগামীতেও তিনি সঠিক মানুষ হিসেবে বিবেচিত হবেন।’
এর মানে সংখ্যালঘু সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সোলবার্গই থেকে যাচ্ছেন। তার কনসার্ভেটিভ দলের জোটে আরো রয়েছেন মধ্য-দক্ষিণপন্থী লিবারেল পার্টি ও খ্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটস।
আপনার মতামত লিখুন :