রাশিদ রিয়াজ : চীনের উহান শহরের পশু খামার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। থাইল্যান্ড ও জাপানে আগেই তিন জনের সংক্রমণের খবর মিলেছিল। এখন সুদূর মার্কিন মুলুকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে বাড়ছে আতঙ্ক। চীনে ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। এই ভাইরাসের আক্রমণে বুধবার পর্যন্ত সে দেশে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৫৪০। আর যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে তা মহামারির আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। চোরাচালান হওয়া বন্যপ্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে জানা গিয়েছিল, উহান শহরের পশু খামার থেকে এই ভাইরাস চিনে ছড়িয়ে পড়েছে। চিনের বাইরে থাইল্যান্ড ও জাপানে আগেই তিন জনের সংক্রমণের খবর মিলেছিল। এখন সুদূর মার্কিন মুলুকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে বাড়ছে আতঙ্ক।
যে কোনও ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করা চীনের কমিউনিস্ট শাসকদের রেওয়াজ। তবে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ভাবে নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করছে তারা। এর কারণও রয়েছে অবশ্য। আসলে ২০০২-২০০৩ সালে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্সের সংক্রমণে দুনিয়াজুড়ে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পিছনেও ছিল করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই নতুন সংস্করণ সেই সাবেক করোনা ভাইরাসেরই জ্ঞাতি। তবে এখনই নয়া ভাইরাসটিকে সার্সের মতো বিপজ্জনক ভাবার কারণ নেই বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তাহলে এত আশঙ্কা কেন?
চীনা নববর্ষ উপলক্ষে সেখানে এখন ছুটির মেজাজ। আর এই সময় বিশ্বেরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য পর্যটক সেখানে যান। সাধারণ মানুষ বিশেষত পর্যটকদের মধ্যে করোনা ভাইরাস ঘিরে যাতে আতঙ্ক না সৃষ্টি হয়, সেই বিষয়ে সরকার সচেষ্ট। যে কারণে নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।