নূর মাজিদ: যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য ও মুদ্রা বাজারের ভবিষ্যৎ দর বিষয়ক অবস্থান প্রকাশ করে কমোডিটি ফিউচার্স ট্রেডিং কমিশন। সংস্থাটির অনুমান, নিকট ভবিষ্যতের বাজারে সবুজাভ মুদ্রাটির বিনিময় হারের আকাশে জমেছে নিম্নগতির মেঘ। ফলে দুই বছর টানা শক্তিশালী অবস্থান অর্জনের পর সহসাই দরপতন দেখতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আভিজাত্যের প্রতীকটি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা কমবে এবং স্বভাবতই নির্বাচনের আগে কমিশনের এহেন পূর্বাভাসে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর: রয়টার্স
ব্যাংক অব আমেরিকা মেরিল লিঞ্চের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০১৯ সালের শেষ কার্যদিবসেই ডলার পতনের কিছু সংকেত দিয়েছিলো। এটার মূল কারণ লেনদেন চক্রের দুটি ভিন্ন গতি। যখন ডলার লেনদেনের ৫০ দিনের গড় হার ২শ দিনের লেনদেন হারের চাইতে কম হয়, তখন মাঝেমাঝেই মুদ্রাটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালের পর থেকে এমন আটটি চক্র লক্ষ্য করা যায়, যার সাতবারেই ডলারের দরপতন হয়েছিলো।
এদিকে ডলারের দর সংকোচনে বিশ্ববাণিজ্য এবং ব্রেক্সিট নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন অনেক বিনিয়োগকারী কিছুটা শঙ্কা অনুভব করছেন। টিডি সিক্যিউরিটিজের বৈশ্বিক মুদ্রা বিনিময় শাখার প্রধান কৌশলবিদ মার্ক ম্যাককরমিক বলেন, ‘বড় পুঁজি নিবেশকারীরা এই মুহূর্তে অনিশ্চিত উদ্যোগে বিনিয়োগের চাইতে ডলারের মতো নিরাপদ উৎসের স¤পদে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী, তাই ডলারের দরপরতনের পূর্বাভাসে তাদের শঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।’
অবশ্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা একে স্বল্পস্থায়ী মনে করছেন। এদেরই একজন বোস্টনের বস্টেট স্ট্রিট গ্লোবাল মার্কেটস-এর বহুমুখী স¤পদ ব্যবস্থাপনা ও কৌশল পরামর্শক শাখার প্রধান কর্মকর্তা লি ফেরিজ। তিনি বলেন, ডলারের দর সূচকের ওঠানামা এখন অন্যান্য উন্নত দেশের মুদ্রার সঙ্গে মাঝামাঝি অবস্থানে আছে। এই অবস্থায় দরপতন হলে তা হবে খুবই সামান্য তফাতের এবং ডলারের সহজাত আবেদন পরিবর্তন এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী হবেনা।
আপনার মতামত লিখুন :