সালেহ্ বিপ্লব : কেরালা ও পঞ্জাবের পর তৃতীয় রাজ্য হিসেবে এই পদক্ষেপ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই ধরনের প্রস্তাব তিন-চার দিনের মধ্যে পাস হওয়া উচিত। এরপরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয় ওই অধিবেশনের। এনডিটিভি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেসকে। কারণ গত ৯ জানুয়ারি বিরোধী দলগুলো সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পেশ করতে চাইলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তা খারিজ করে দেন। সেদিন বিধানসভায় মমতা পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, তিনি ১৩ জানুয়ারি সোনিয়া গান্ধির ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও যাবেন না। সেই বৈঠকের বিষয় ছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি হিংসার রাজনীতিকে সমর্থন করেন না, যা কংগ্রেস ও সিপিআই(এম) রাজ্যে করছে।
মমতার এমন বক্তব্যের পর বাম দলগুলো ও কংগ্রেস তার কড়া সমালোচনা করে বলে, সিএএ-কে কেন্দ্র করে বিজেপি-বিরোধী যে বিরোধী ঐক্য, তাকে ধ্বংস করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে মমতার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চাই। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন, তাদের বোঝা উচিত, এভাবে তারা কেবল বিজেপির হাতই শক্তিশালী করছেন।''
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২৭ জানুয়ারি সিএএ বাতিলের প্রস্তাবকে সমর্থন করতে সিপিআই (এম) ও কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, মমতা আজ দার্জিলিং যাচ্ছেন সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে মিছিলে যোগ দিতে।
আপনার মতামত লিখুন :