কামরুল হাসান মামুন : ঢাকা এখন পোস্টারের শহর! এই পোস্টারের পঁচান্নবই শতাংশ পোস্টারই ক্ষমতাসীন দলের। আমি ভাবতেছি এই যে অযথা এত টাকা খরচ করে প্লাস্টিকের পোস্টার দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করতেছে কিন্তু কেন? তারা তো জানেন নির্বাচনে তারাই জিতবেন। এই খেলায় হারজিত নেই। হারজিত তখনই থাকে যখন পক্ষ বিপক্ষ উভয়েরই জয়ের চান্স থাকে। এখানে বিপক্ষের চান্স শূন্য। একদম ডিটারমিনিস্টিক কেস। বিপক্ষ পার্টিও জানে জিতলে বরং তাদের কপালে দুর্ভোগ নেমে আসবে। হয়তো প্রার্থী নিজেও প্রার্থনা করছেন যেন না জিতেন। তারা জানেন জিতলে মামলা-টামলা দিয়ে তাদের জেলের মধ্যে ঢুকাবেই। এটা তাদের ক্ষতি। আবার জিতলে জনগণেরও ক্ষতি! সরকার রিভেঞ্জ নেবে। যে এলাকায় বিপক্ষের কেউ জিতবেন সেখানে কোনো উন্নয়ন হবে না। এইটা কোন লেবার গণতন্ত্র? মাঝ দিয়ে পরিবেশের ইররিভার্সিবল ক্ষতি হয়ে গেলো।
এসব লেমিনেটেড পোস্টার মাটির সঙ্গে মিশবে না। এই পোস্টারের একটি বড় অংশের ঠিকানাই হবে আমাদের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা আর তুরাগ নদী। কী সাংঘাতিক? আগামীর মেয়র সাহেবদের বলছি- এই যে মাইকিং-ট্রাইকিং করে জনগণের জীবন অতিষ্ট করে ফেলতেছেন কেন? আপনারা তো শতভাগ নিশ্চিত যে আপনারাই জিতবেন, অন্তত গত কয়েকটি নির্বাচনের ইতিহাস তাই বলে। তাহলে কেন এই উৎপাত? আমার কন্যার এ লেভেল পরীক্ষা চলছে। এছাড়া সামনেই এসএসসি পরীক্ষা। এই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই মাইকিং ট্রাইকিং না করলে হতো না? প্লাস্টিকের পোস্টার না ছাপালে হতো না? অনেক ঘরে রোগী আছে। Do you really care? Is there anyone in this country who care for us? সমাজ রাষ্ট্র যখন পঁচে যায় তখন সবখানেই গন্ধ বের হয়। পোস্টার, মাইকের যথেচ্ছা ব্যাবহার কোনো সভ্য জাতি বা দেশের নিদর্শন হতে পারে না। ঢাকার অপূরণীয় ক্ষতি করে মেয়র প্রার্থীরা জনগণকে সুন্দর ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সত্যি কী সেলুকাস! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :