পীর হাবিবুর রহমন : লোভ, সুবিধাবাদিতা ও আদর্শহীনতা মানুষকে এতোটাই নীচে নামায় যে জামায়াতের প্রোডাক্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে আজীবন কারাদ-ে দ-িত সাঈদীর আদর্শপুত্র মিজানুর রহমান আজহারীরও প্রচার চালায় তথাকথিত আওয়ামী লীগ। সাঈদীকে মদিনার ইমাম চাঁদে দেখেছে বলা তারেক মনোয়ার মহান আল্লাহ ও পবিত্র ইসলাম ধর্মের নামে মিথ্যাচার করলেও মিজানুর রহমান আজহারীকে জড়িয়ে কাঁদে ওয়াজ মাহফিলে। বলেন, নাসা বলেছে,পশ্চিমে সূর্য উঠবে। মিথ্যারও নমুনা থাকে, তারেক মনোয়ার সেই নমুনাও রাখেন না। বলেন, হেলিকপ্টারে তার সখ নেই, রকেটে চড়েছে অনেকবার। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে তিনবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক করলেও কাউকে বলেননি,পরিবারকেও না। ফট করে ওয়াজে বলে দিলেন। বিশ্বের নামকরা ধনাঢ্য আইফোনের মালিক বেলগ্রেডের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। ট্রাম্পের পূর্বপুরুষ সিরিয়া থেকে গেছে। ট্রাম্পের মিটিংয়ে দাওয়াত পেয়েও যাননি! ইংল্যান্ডে থেকে ইংলিশ ফুটবল লীগে খেলেছেন, টাকাও পেতো। হারাম বলে ছেড়ে দেয়। মনে পড়ে তালেবানি শাসনে আফগানিস্তানে ফুটবলও নিষিদ্ধ ছিলো।

মিজানুর রহমান আজহারী মিসরের জাতীয় মাদ্রসার বিশ্বিদ্যালয় আল আজহারে পড়াশোনা করেছে। স্মার্ট ফ্যাশনেবল মিজান আজহারী ইংরেজি, আরবি বাংলায় চমৎকার বলেন, গান গান সুরে। বাগ্মিতায় ধর্মের নামে সাঈদীর নামে মানুষকে উত্তেজিত করে জামায়াতের রাজনীতি ছড়ায়। সাঈদীকে সিংহ ও নিজেকে সিংহের বাচ্চা বলেন! সাঈদীর মুক্তি চান, ঘরে ঘরে সাঈদীর জন্ম চান। চতুর বক্তৃতায় সাঈদীর বয়ান করে, নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। আহারে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাও যায় তার ওয়াজে। সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদীর ভাই আজহারীর ওয়াজ। সাঈদীর ভক্ত হয়েছিলেন গ্রামের নারী পুরুষ, আজহারীর শহিরে নারী পুরুষ। জামায়াতে যোগদানের আগে সাঈদীর ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন ও মানুষের ঢল যেমন মানুষ নামাতো, তেমনি আজহারীর ওয়াজেও নামায়। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাসে থাকলে ধর্ম থাকবে ব্যক্তিজীবনে, রাজনীতিতে নয়। অথচ আজ মিজানু রহমান আজহারীর গুনগান গান, প্রচার চালায় মূর্খ আওয়ামী লীগ! এসব দেখারও কেউ নাই। নারী নেতৃত্বেরর বিরুদ্ধে জোরালো কথা বলে, হিজাবে বাধ্য করতে উত্তেজিত করে, বাল্যবিবাহের প্রচার চালায়। হায়রে তথাকথিত শিক্ষিত মূর্খরা, তবু ইজ্জতে লাগে না। সমাজকে ধর্মান্ধতার নামে অন্ধাকার করে শিক্ষা প্রগতির চাকাকে উল্টে দিতে আজহারীর জন্য কাঁদে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তথাকথিত দাবিদাররা। শরীয়ত বয়াতির জন্য প্রতিবাদ করে না, মুক্তিও চায় না। হায়রে ধর্মব্যাবসায়ীর ভক্ত। সুবিধাবাদী নির্লজ্জ বেহায়াগণ।

একসময় আলেমরা আল্লাহ ও নবীর ওয়াজ করতেন, ধর্মের প্রচার করতেন, ধর্মের বিদ্ধেষ ছড়াতেন না। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও মওদুদীর জামায়াতি ইসলামের রাজনীতির প্রচারে যেতেন না। তাই তাদের মানুষ সম্মান করতেন। জামায়াত ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা তো একাত্তরে ধর্মের নামেই যুদ্ধ করেছে, ধর্ষণ করেছে, গণহত্যা অগ্নিসংযোগ করেছে। সেই ভয়াবহতার রাজনীতির সৃষ্টিকেই আজ গ-মূর্খরা প্রচার চালায়, জামায়াত ও শয়তান তা দেখে আর হাসে। বলে যারা আওয়ামী লীগ দাবি করে আজহারীর গুণগান করে প্রচার চালায়, তারা সুবিধাবাদী, আদর্শহীন নষ্ট নাকি নির্বোধ মূর্খ? ফেসবুক থেকে