আসিফুজ্জামান পৃথিল: ফিনল্যান্ডের কোম্পানিটি বাতাসের সঙ্গে সামান্য পানি ও বিদ্যুৎ মিলিয়ে সম্পূর্ণ নতুন এক উপাদান আবিস্কার করেছেন যা খাওয়া যায়। সিএনএন
কৃষি গ্রিনহাউজ গ্যাসের অন্যতম প্রধান উৎস। পশুপালন থেকেই বৈশ্বিক ১৪.৫ শতাংশ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিস:রণ হয়। এছাড়াও কৃষিজমির কারণে প্রচুর বন উজার হয়, যা কার্বন জমিয়ে রাখার একমাত্র উৎস। খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় বিশ্বের ৭০ শতাংশ পানি।
হেলসিঙ্কি ভিত্তিক কোম্পানিটির সিইও পাসি ভানিয়াক্কা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে, আমাদের কৃষি ছাড়াই খাদ্য উৎপাদনের কথা ভাবতে হবে।’
কোম্পানিটি সোলেইন নামে বিশেষ এক প্রোটিন পাউডার বানিয়েছে। এটির আলাদা কোনও স্বাদ নেই এবং যেকোনও খাবার ও নাস্তা তৈরীতে এটি ব্যবহার করা যায়। সোলার ফুডস এর দাবি খাবারটি সম্পূর্ণ আমিষ হলেও এতে কোনও কার্বন ফুটপ্রিন্ট নেই।
একটি ফামেন্টশন ট্যাঙ্ক মাইক্রোব ব্যবহার করে গাঁজন পদ্ধতিতে এই খাবার তৈরি হয়। তবে বিয়ারের মতো এই মাইক্রোব চিনি খায় না। তারা খায় হাইড্রোজেন বুদবুদ, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং ভিটামিন।
পানিতে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালিয়ে এই হাইড্রোজেন তৈরি করে সোলার ফুড। এ কারণেই তারা বলছে এই খাবারের জন্ম হালকা বাতাস থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :