আসিফুজ্জামান পৃথিল : এই মন্তব্য করেছে রোহিঙ্গা গণহত্যা তদন্তের জন্য প্রতিষ্ঠিত মিয়ানমারের একটি কমিশন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি-আইসিওসি এই তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করলেও পুরো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সোমবার রাতে দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। আল জাজিরা
২৪ জানুয়ারি জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে কোনও অন্তবর্তী রায় দেয়া হবে কিনা সে তথ্য জানাবে।
আইসিওসি বলছে, কিছু নিরাপত্তাকর্মী অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে যুদ্ধাপরাধ করেছে। সেক্ষেত্রে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনও হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন নিরিহ গ্রামবাসী, ধ্বংস হয়েছে তার ঘরবাড়ি।
কমিশনটি বলেছে, ‘এই বিষয়ে বিতর্ক করার জন্য যথেষ্ট তথ্য নেই। তাই সেভাবে সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। ধ্বংসযজ্ঞ পরিমাপ করে আমরা অপরাধের পরিমাণ নির্ধারণ করেছি।’
বিষয়টি নিয়ে গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট আকিলা রাধাকৃষ্ণান বলেন, ‘তারা এমন কথা বলছে, যা মানবাধিকার বিশ্লেষক আর রোহিঙ্গারা আগে থেকেই জানেন। দেখে মনে হচ্ছে দেশটির সরকারের পাইকারি হত্যা আর ধর্ষণের বিচার করার কোনও ইচ্ছাই নেই। ’
‘এই কমিশন সত্যকে প্রতিফলতি করে রোহিঙ্গাদের সত্যকারের অবস্থা আড়াল করার একটি চেষ্টা মাত্র।’
আপনার মতামত লিখুন :