কূটনৈতিক প্রতিবেদক : যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাপানের সমর্থনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুই এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত রচনা করেন। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জাপানের সহযোগিতা বাংলাদেশ স্মরণ করবে। ২০২২ সালে জাপান এবং বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের নয়া রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপক উপস্থিতি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারের জনগণের দীর্ঘ সময়ের উপস্থিতির কারণে এখানে সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি হতে পারে।
বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অন্ততপক্ষে ৩১০টি জাপানি কোম্পানি দেশে কাজ করে যাচ্ছে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এবং গাজীপুরে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।জাপানের উদ্যোক্তারা সেখানে নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে পারেন।
আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্প্রসারণে ‘বিবিআইএন’ এবং ‘বিসিআইএম এই অঞ্চলের যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিসঞ্চারে চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়া পূর্ব এবং পশ্চিমের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দরকে উন্নত করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :