শিরোনাম
◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে

প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:১৯ সকাল
আপডেট : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকার দুই সিটিতে ব্যালটে ভোট চায় বিএনপি

সাইদ রিপন : আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহনের লিখিত দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়। এছাড়া মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাকক্ষে কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। এসময় কমিশনের কাছে ফখরুলের চিঠি পৌঁছে দেয় প্রতিনিধিদল।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ৮ এর উপনির্বাচনের বিস্তারিত তথ্যসহ চিত্র দেশের সকল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যা আপনারাও অবগত আছেন বলে মনে করি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত এই চিত্র ইভিএম, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার সম্পর্কে আমাদের দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবিকে আরাে পাকাপােক্ত করেছে। সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি ইভিএম সম্পর্কে আমাদের দলের বক্তব্য এবং দাবি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিকে অবগত করেছি। ৬ জানুয়ারি আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের দলের দুই মেয়র প্রার্থীসহ বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মহানগরের আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি দাবিনামা আপনাদেরকে (নির্বাচন কমিশন) পেশ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে এই পুত্র আবারও আপনাদের কাছে পেশ করছি। একটি স্বচ্ছ ও শুদ্ধ নির্বাচন ব্যবস্থা ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অর্থহীন। গণতন্ত্র কার্যকরী করার জন্যই ঐ ভােট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের সংবিধান নির্বাচন কমিশনের মতাে একটি প্রতিষ্ঠান জন্ম দিয়েছে।

'ইভিএম প্রকল্পের মতাে একটি সর্বজন বিতর্কিত উদ্যোগ সংকটকে আরাে ঘনীভূত করেছে। ইতােমধ্যেই ইভিএম’র যান্ত্রিক অকার্যকারিতা যেমন প্রমাণিত হয়েছে তেমনি নির্বাচন কমিশনকে সহযােগী অথবা নিষ্ক্রিয় রেখে কাগজের ব্যালট ছিনতাই বা ডাকাতির মতােই ইভিএম’র উপরেও সরকারদলীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক ভােটিংও ভােটারদের দেদারছে সরকারদলীয় বাহিনীরা দখল করেছে। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচন যার সর্বশেষ প্রমাণ। নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ান ইতােমধ্যেই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে প্রচলিত ব্যালট ব্যবস্থায় পুনরায় একটি অবাধ নির্বাচন আয়ােজনের জন্য আপনার বরাবর দাবি করেছেন।"

"গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের বিশেষজ্ঞরা সাংবাদিকদেরকে ইভিএম মেশিনের কার্যকারিতা প্রমাণে একটি প্রদর্শনীর আয়ােজন করেছিলেন। ইলেকট্রনিক ভােটিং মেশিনে (ইভিএম) দুটি ইউনিট। একটি কন্ট্রোল ইউনিট, অন্যটি ব্যালট ইউনিট। এর মধ্যে ব্যালট ইউনিটটি অরক্ষিত। কন্ট্রোল ইউনিটে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিংয়ের পর ব্যালট ইউনিটে গিয়ে একজনের ভােট দিতে পারেন অন্যজন। কেননা, কন্ট্রোল ইউনিটে ফিঙ্গারের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যালট ইউনিটে তা নেই, সেখানে সাংবাদিকরাই তা প্রমাণ করেন। যা প্রমাণিত হলাে- চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনে প্রমাণ হলাে এমনকি তৃতীয় পক্ষ দ্বারা নিরীক্ষিত ইভিএমও যদি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ গ্রহণ করেন সেই যন্ত্র নিয়ন্ত্রণকারীরাই চূড়ান্তভাবে ভােট দেয়ার ক্ষমতা পাবেন। অতএব, নির্বাচন কমিশন যতক্ষণ একটি স্বচ্ছ, শুদ্ধ ও ভােটারের গােপনীয়তাসহ ভােটাধিকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত না করতে পারবেন ততক্ষণই ভােটাধিকার চর্চা থেকে ভােটের মালিক তথা রাষ্ট্রের মালিক জনগণ বঞ্চিত থাকবেন।"

"আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের হাতে এখনও সুযােগ আছে নিরপেক্ষতা প্রমাণের চেষ্টা করা। সেই লক্ষ্যে ইতােমধ্যেই উন্মােচিত ইভিএম'র অকার্যকারিতাকে বিবেচনায় নিয়ে ইভিএম ব্যবস্থা বাতিল করে প্রচলিত ব্যালট ব্যবস্থাতেই ভােট গ্রহণের ব্যবস্থা করুন। ভােট প্রক্রিয়ায় সরকারি দলের খবরদারি বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আশা করি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা প্রমাণে আমাদের উল্লেখিত দাবি পূরণ করে ০১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ করার ব্যবস্থা নিবেন।"

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়