আনিস তপন : বুধবার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে জাইকার বাংলাদেশস্থ চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হিতাশি হিরাতা সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে এসব কথা বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এটি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন করে শীঘ্রই একনেক সভায় পেশ করা হবে।
জবাবে জাইকা’র চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দাপ্তরিক কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, যুগ্মপ্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, জাইকা’র বাংলাদেশস্থ রিপ্রেজেন্টেটিভ ওয়াতারু ওসাওয়া (ডঅঞঅজট ঙঝঅডঅ) এবং প্রিন্সিপাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার আহমদ মুকামমেলুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ দশমিক ১৬ কোটি টাকা । জাইকার অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে। এতে জাইকার ঋণ ১২ হাজার ৮৯২ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, ২ হাজার ৬৭১ দশমিক ১৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থ ২ হাজার ২১৩ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজের সঙ্গে প্রায় ২৮ কিলোমিটার চারলেন বিশিষ্ট সড়কসহ ১৭টি সেতু থাকবে। ১৭ টি সেতুর দৈর্ঘ প্রায় সাত কিলোমিটার। প্রকল্পের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ হতে জুন ২০২৬ পর্যন্ত। এটি বাস্তবায়িত হলে ১৯ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দরে ভিড়তে পারবে। দেশের অর্থনেতিক উন্নয়নে বন্দরটি বিরাট ভূমিকা পালন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :