শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৩ সকাল
আপডেট : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ৫০ শতাংশ বেড়েছে

আমাদেরসময় : ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটককৃতদের সংখ্যা হঠাৎ করেই ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ২০১৭ সালে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যেখানে ১ হাজার ৮শ’ জনকে আটক করে সেখানে ২০১৮ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২,৯৭১ জনে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ চেষ্টার দায়ে আটককৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

এনসিআরবি ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া ২০১৮’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছর আটক ২,৯৭১ জনের মধ্যে ১,৫৩২ জন পুরুষ, ৭৪৯ জন নারী ও ৬৯০ জন শিশু। এরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলো। আগের বছর এই সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে ১,৪৭৭, ২৬৮ ও ৫৫ জন।

অন্য দিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সংখ্যা কমে গেছে। ১০১৭ সালে যেখানে এমন ঘটনায় ১,১৮০ জনকে বিএসএফ আটক করে সেখানে ২০১৮ সালে আটক করা হয় ১,১১৮ জনকে। তবে বিএসএফ আটককৃতদের কি করেছে সে বিষয়ে এনসিআরবি উপাত্তে কিছু বলা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। ২০১৭ সাল থেকে সীমান্তের বিভিন্ন অংশ দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এই উপাত্ত রাখা শুরু করে ব্যুরো। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই আসামের দ্বিতীয় এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) খসড়া প্রকাশের সময়ের ঘটনা এগুলো। আসামের ৪০ লাখ লোককে ওই তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়। ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই প্রকাশিত চ‚ড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লাখ মানুষ।

তবে এই উপাত্তে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন লেখক ও বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ সুবীর ভৌমিক। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, মূলত দুটি কারণে বাংলাদেশমুখী পাল্টা অভিবাসন ঘটছে। প্রথমত আসামের এনআরসি করার পর সারা দেশে এটা করা হবে বলে বারবার বিজেপি নেতাদের হুমকি। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। পাশাপাশি ভারতে অনিশ্চয়তা। যারা ১৯৭০ ও ১৯৮০ দশকে ভারতে এসেছিলো তাদের জন্য বাংলাদেশেই এখন ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাহলে তারা কেন পিটুনির শিকার হওয়ার ঝুঁকি নেবে যখন নিজের দেশেই মর্যাদার সঙ্গে আরো ভালোভাবে জীবিকা অর্জন করতে পারে?

চলতি মাসের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিজিবি)’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন যে, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ৪৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

সীমান্তে পোস্টিং পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত পাড়ি দেয়া লোকজনের সংখ্যা এখনো আতঙ্কজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। তবে নিশ্চিতভাবে তা বাড়ছে। কী সংখ্যক মানুষ ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে তা হিসাব করা কঠিন। তারা হয় নিজে থেকেই অথবা পাচারকারীদের দ্বারা সীমান্ত পারি দিচ্ছে।

ওই অফিসার আরো বলেন, বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের পাশাপাশি সীমান্তের দুই পাশেই আত্মীয় স্বজন রয়েছে এমন বিপুল সংখ্যক মানুষও প্রতিনিয়ত আটক হচ্ছে। তাদের কাছেও কোন কাগজপত্র থাকে না। তাই সীমান্ত পারাপারকারীদের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। সূত্র : হিন্দুৃস্তান টাইমস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়