গোলাম মোর্তোজা : একজন সম্পাদক-সাংবাদিক বা একটি পত্রিকা বা একটি টেলিভিশন যখন বিপদে পড়ে, তখন অন্য সম্পাদক-সাংবাদিক, পত্রিকা বা টেলিভিশন নীরব থাকে বা আড়ালে মুচকি হাসে। পাশে দাঁড়ায় না। ভাবখানা থাকে এমন ‘যোগ্যতায় তো পারা যায়নি, সে যদি ডোবে তো লাভ হবে আমার বা আমাদের’। বিএনপি জামানায় ইটিভি বন্ধ করার সময় এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিলো। এবার বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যখন ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোয় বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলো, তখন অন্যরা ভাবলেন সব বিজ্ঞাপন তারা পাবেন। বাস্তবে হলো উল্টো, ফোন কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন দেওয়াই প্রায় বন্ধ করে দিলো। বহুজাতিক কোম্পানি বিজ্ঞাপন বাজেট আশঙ্কাজনক অনুপাতে কমিয়ে ফেললো।
তাদের বিজ্ঞাপন চলে গেলো বিদেশি চ্যানেলে। দেশের পত্রিকা-টেলিভিশনগুলো রুগ্ন হয়ে গেলে। দলীয় প্রপাগান্ডায় পাঠক-দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করলো। কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের গণমাধ্যম। এমন অবস্থায় প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা, বিপদ শুধু সম্পাদক মতিউর রহমান বা প্রথম আলোর নয়। সম্পাদক মতিউর রহমান ইতোমধ্যে সাফল্যের যে শিখরে পৌঁছেছেন, তার নতুন করে তেমন কিছু করার নেই। তিনি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশে স্থান নিশ্চিত করেছেন। সুতরাং মূল বিপদ সব সম্পাদক-সাংবাদিক, পত্রিকা-টেলিভিশনের। রুগ্ন হয়ে বেঁচে থেকে করুণা পাওয়া যাবে, সম্মান নয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :