শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুনী মোশতাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন মনসুর আলী

সমীরণ রায় : ‘জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনাদর্শ বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুসরণযোগ্য। তিনি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাক তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মনসুর আলী সেই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ১০৩তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, স্বাধীনতার পর খাদ্যের অভাবে কেউ মারা না যাওয়ার কৃতিত্বের দাবিদার এম মনসুর আলী। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এটা সম্ভব হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন জাতীয় চার নেতা। বঙ্গবন্ধু যখনই কোন আস্থার জায়গা খুঁজতেন, তখনই তাদের ওপর নির্ভর করতেন। তিনি বলেন, পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জাতীয় চার নেতার মধ্যে একমাত্র এম মনসুর আলীকেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন খুনি মোশতাক। কিন্তু মনসুর আলী সেই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং মৃত্যুতে আলিঙ্গন করেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আমি মনসুর আলীসহ জাতীয় চার নেতাকে নিবিড়ভাবে দেখেছি। তাদের রাজনৈতিক শিক্ষায় সমৃদ্ধ হয়েছি। জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেইমানি করেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পচাত্তরের ১৫ আগস্ট যেদিন জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, আমরা সেদিন নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। যাঁর নেতৃত্বে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, যাঁর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না, তাঁকে বাংলার মাটিতে এভাবে জীবন দিতে হবে, এটা আমরা কখনোই ভাবিনি।’

শহীদ এম মনসুর আলীর সন্তান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেন, পচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর আমার বাবা মনসুর আলীকে খোন্দকার মোশতাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ঘৃণাভরে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এম মনসুর আলী বলেছিলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। জীবন দেব, তবুও তোমার মতো বেইমানের সঙ্গে হাত মেলাব না।’ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, আমি নিজেকে গর্ববোধ করি এই জন্য যে, আমি খুনি মোশতাকের মতো বেইমানের সন্তান নই। জাতীয় এ নেতাকে অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে সভাপতির বক্তৃতায় মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, মুজিববর্ষে একাত্তর-পচাত্তরের খুনিদের আশ্রয়দাতাদের দখলে দেয়া যেতে পারে না। আইন করে সিটি নির্বাচনে আমাদের মুখ বন্ধ করা হয়েছে, কিন্তু হৃদয় বন্ধ করতে পারেনি। হৃদয় দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয় নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফলতা হিমালয়ের মতো। দেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিরল গুণের অধিকারী শহীদ এম মনসুর আলী ধমক দিয়ে উচ্চকষ্ঠে কখনো কারো সাথে কথা বলতেন না। তার আদর্শ অনুসরণযোগ্য।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়