ডিডিমুন: রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুলশানে বোনের বাসায় অভিনেত্রী ইশরাত নিশাতের মরদেহ সোমবার ২০ জানুয়ারি বিকালে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নিয়ে এক শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মঞ্চ কুমারীখ্যাত শিমুল ইউসুফসহ অনেকেই কানায় ভেঙে পড়েন। ইশরাত নিশাতের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

ইশরাত নিশাত থিয়েটার অঙ্গনে ‘বিদ্রোহী কণ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। প্রায় সবার সঙ্গেই সুন্দর সম্পর্ক ছিলো তার। সবাইকে ভালোবাসতেন, সুখ-দুঃখে পাশে থাকতেন। তাই প্রিয় এই মানুষটিকে হারিয়ে শোকাহত নাট্যাঙ্গনের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

ইশরাত নিশাতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন,‘ নিশাত আপা, আপনার আসল ঠিকানা আসলে কোথায় ছিল? থিয়েটার, আমাদের অন্তরে নাকি যেখানে চলে গেলেন, সেখানে? যেখানেই যান, ভালো থাকবেন। আমাদের সবার চোখে আপনি এখন জল হয়ে ঝরছেন। আপনি আমাদের অনেক আদর আর ভালোবাসার মানুষ ছিলেন।’

কবি মারুফ রায়হান বলেন, ‘ ইশরাত সিশাত প্রথম থিয়েটারে অভিনয় করতে আসেন তার মা বিখ্যাত অভিনেত্রী নাজমা আনোয়ারের সঙ্গে। তখন আমিও নাটক করতাম। সে সময় পরিচয়।আমরা একবার পরিকল্পনাও করেছিলাম একসাথে কবিতার বই বের করব।সেটি আর করা হয়নি।’
অভিনেত্রী শাহনাজখুশি বলেন, ‘প্রস্তুত ছিলাম না কোনভাবেই এ মৃত্যু সংবাদের জন্য! সুবীর দাকে শেষ দেখার জন্য শহীদ মিনারে দেখা হলে বলেছিলেন, ‘তুই খুব সুন্দর করে লিখতে পারিস খুশী। কিন্তু শোন, আমি মরে গেলে যেন আমাকে নিয়ে কিছু লিখিস না। বাসায় যাস না, মরলে ঢং করে লিখবি ফেসবুকে লিখবি। এসব হবে না। নাহ! কি লিখব আপা!’

নির্মাতা এসএ হক অলিক ঢেসবুকে পোস্ট লিখেছেন, ‘ নিশাত আপা! এইটা কোনো কথা! আল্লাহ্। ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন। নিশাত আপা রাত ১১ টার দিকে গুলশানে তার বোনের বাসায় মারা গেছেন। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে বাথরুমে পড়ে যান। দরজা ভেঙ্গে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু তার আগেই মারা যান তিনি।

‘দেশ নাটক’ নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইশরাত নিশাত। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, নির্দেশক ও আবৃত্তিশিল্পী ছিলেন। তার নির্দেশনায় দেশ নাটকের প্রযোজনা ‘অরক্ষিতা’ প্রশংসিত হয়। গুণী এই অভিনেত্রী নাসির উদ্দীন ইউসুফের আলোচিত ‘আলফা’ চলচ্চিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।