শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:১৯ সকাল
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের সবচেয়ে সফল পত্রিকার নাম প্রথম আলো এবং ওই পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমান

রাজীব নূর : ‘প্রথম আলো’তে আমি দু’দফা কাজ করেছি। তবে মতি ভাইয়ের অধীনে কাজ শুরু করেছিলাম ‘ভোরের কাগজ’ থেকে। ভোরের কাগজে চাকরি চাইতে গিয়ে মতি ভাইয়ের কাছে যে ইন্টারভিউ দিতে হয়েছিলো, তা আমি বহুজনের কাছে বহুবার বলেছি। সম্ভবত ভোরের কাগজে মতি ভাইয়ের নিয়োগ দেওয়া শেষ কর্মীটি আমিই ছিলাম। সেখান থেকে মাত্র কয়েক মাস পরই চলে এলাম মতি ভাইয়ের সঙ্গে, মতি ভাইয়ের পত্রিকায়। মতি ভাইয়ের পত্রিকা বলার কারণ হচ্ছে আমরা নিয়োগ পেয়েছিলাম ‘একুশে’ নামে একটা পত্রিকায় এবং জানতাম নামটা বদলে যাবে, তাই শুরুতে নাম না জানা যে পত্রিকাটিতে কাজ করতে হবে, তাকে আমরা মতি ভাইয়ের পত্রিকা বলতাম। নামকরণের পর আমরা পত্রিকাটির কনিষ্ঠ কর্মীদের কয়েকজন নামটা একেবারে পছন্দ করতে পারছিলাম না, তাই নিজেদের পত্রিকাটাকে ‘প্রথম আলো’ না বলে আমরা বলতে শুরু করলাম ‘মতি ভাইয়ের কেঁচে গ-ুষ’, সংক্ষেপে ‘কেঁচে গ-ুষ’। ভালো কথা নাম যাই হোক, পত্রিকাটা যে দাঁড়াবেই এ নিয়ে আমাদের মনে কোনো সংশয় ছিলো না।

তখনো সম্পাদক হিসেবে দেশজুড়ে আজকের মতো প্রতিষ্ঠা পাননি মতি ভাই। তবে আমরা জানতাম মতি ভাইয়ের মতো সম্পাদক ব্যর্থ হবেন না। তার সাফল্য তো এতোদিন পর আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মতি ভাইকে আমি ভালোবাসি। নিন্দা করার কারণও জানি। তবু নিন্দা করিই না বলা চলে। আমার, আমাদের এই ভালোবাসায় কিংবা নিন্দায় মতি ভাইয়ের কিছু আসে যায় না। দেশের সবচেয়ে সফল পত্রিকার নাম ‘প্রথম আলো এবং ওই পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমান।

এতো কথা বলার উদ্দেশ নাঈমুল আবরারের অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলায় মতিউর রহমান, আনিসুল হক প্রমুখের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি। আর সবার মতো আমিও মনে করি এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। আবরারের মৃত্যু অবহেলাজনিত হত্যাকা- হলে তার বিচার নিশ্চয়ই হওয়া দরকার। কিন্তু ঘটনাস্থলে অনুষ্ঠানের কোনো পর্যায়েই মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন না। তবু ‘কিশোর আলো’র প্রকাশক হিসেবে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা যেতেই পারে। অতীতে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি বলে এখন আনা যাবে না এমন নয়। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিতে যে বাড়াবাড়ি আছে, তাতেই মনে হচ্ছে এটা ‘প্রথম আলো’কে দেখে নেওয়ার অভিপ্রায় থেকে করা হচ্ছে। মূল উদ্দেশ পত্রিকাটির উপর চাপ সৃষ্টি করা এবং পারলে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া। তাই এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোটা মতিউর রহমানকে ভালোবাসা, মন্দবাসার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সংবাদকর্মীদের নিজের অস্তিত্ব রক্ষার। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়