প্রভাষ আমিন : কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র নাঈমুল আবরারের মৃত্য অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। কিন্তু এটি অসাবধানতাজনিত মৃত্যু। কারও না কারও খামখেয়ালী বা প্রস্তুতিতে কোথাও না কোথাও ঘাটতি ছিলো। কিন্তু মতিউর রহমান বা আনিসুল হক তো নাঈমুল আবরারকে হত্যার নির্দেশ দেননি বা মৃত্যু চাননি। আবরারের মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তার পরিবারের। এরপর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে প্রথম আলো আর কিশোর আলোর। মতিউর রহমান তো সেদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেনই না, আনিসুল হকও ঘটনা জেনেছেন অনেক পর। যাদের খামখেয়ালীতে আবরারের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বিচার অবশ্যই চাই। কিন্তু এই মামলাকে যেন প্রথম আলোর কণ্ঠরোধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আইন যেন নিজস্ব গতিতে চলে। প্রথম আলোর মামলার সুপারসনিক গতি, আবার অনেক মামলায় তদন্ত শেষ হতেই কয়েকবছর লাগে; সন্দেহটা এখানেই। যে মামলায় সমন দিয়েই বিচার শুরু করা যায়, সে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা; আমাদের সন্দেহ বাড়ায়। প্রথম আলোর বিভিন্ন বিষয়ে আমার দ্বিমত আছে। সেই ভিন্নমতটা আমি প্রকাশ্যে বলি এবং লিখিও। কিন্তু তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের যে কোনো অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানাই।
আপনার মতামত লিখুন :