এস এম সাব্বির, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গোপালগঞ্জ জেলায় ঢেঁকির শব্দ আর নেই। গোপালগঞ্জে ঢেঁকির ব্যবহার কমে গেছে। ফলে বিলুপ্তির পথে গ্রামীন জনপদের কাঁঠের তৈরি ঢেঁকি।
গ্রামীণ ঐতিহ্যেকে ধরে রাখতে কেউ কেউ বাড়ীতে ঢেঁকি রাখলেও তারা ব্যবহার করছে না। আবার কেউ কেউ দরিদ্র নারীদের দিন মজূরী দিয়ে ঢেঁকিতে ধান, চাল বা আটা তৈরি করতে দেখা গেছে। সেখানে একটু হলেও ধুপধাপ শব্দ শুনা যায়। ঢেঁকি একটি শিল্প হলেও এ শিল্পকে সংরক্ষণে৩র কোন উদ্যোগ নেই। এক সময় ঢেঁকি শিল্পের বেশ কদর ছিলো।
যখন মানুষ ঢেঁকিতে ধান ও চাল ভেঙ্গে চিড়া আটা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু কৃষকের ঘরে ঢেঁকি আর চোখে পড়ে না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় তেল-বিদ্যুৎ চালিত মেশিন দিয়ে ধান ও চাল ভাঙ্গার ফলে ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে।
কালের বিবর্তণে সেই ঢেঁকি এখন যেন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আগের মত আর চোখ পড়ে না।
গোপালগঞ্জের উত্তম বাউল বলেন, ঢেঁকি নিয়ে বহু গান গেয়েছি। এখন ঢেঁকি নেই, তাই গ্রামীন গান আর গাওয়া হয়না।
দক্ষিণ মৌলভীপাড়া বাসিন্দা বৃদ্ধা ধলাবু বলেন, ধান ঢেঁকিতে পার দিয়ে সে আটা’য় পিঠা, পুলি, তৈরি করে নতুন স্বামীকে খাওয়াতে হবে, সে সময় এমন নিয়ম ছিলো নববধুদের উপর।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী জানান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে গ্রাম বাংলার ঢেঁকির ব্যবহার কমে গেছে। তবে ঢেঁকি আমাদের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য।
সেজন্য এ ঢেঁকি শিল্প রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য সকলের সহযোগিতা এবং গনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সম্পাদনা: রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :