ডেস্ক নিউজ: কথায় আছে রোগ হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা ভালো। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী পুরুষের প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। তাই সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। যদি পরিবারে প্রস্টেট ক্যানসারের ইতিহাস থাকে, তা হলে অতিরিক্ত সতর্ক হতেই হবে! বয়স পঞ্চাশ পেরোলেই প্রতিবছর নিয়ম করে প্রস্টেট পরীক্ষা করানো উচিত।
একই সঙ্গে রক্ত পরীক্ষাও করাতে হবে। দেখতে হবে রক্তে পিএসএ (প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন) কতটা আছে। পিএসএর মাত্রাই বলে দেবে আপনার ক্যানসারের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে করাতে হবে ডিজিটাল রেক্টাল পরীক্ষা। প্রস্টেটে কোনো রকম স্ফীতি দেখা গেলে দেরি না করে বায়োপসি করাতে হবে। এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে ক্যানসার হতে পারে বোঝা গেলে বা একদম শুরুতে ধরা পড়লে ভয় থাকে না।
শুরুর দিকে প্রস্টেট ক্যানসারের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। যখন রোগটি অ্যাডভান্সড স্টেজে চলে যায়, তখন লক্ষণগুলো প্রকট হতে থাকে। তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, প্রস্রাব বা বীর্যের সঙ্গে রক্ত, মূত্রনালিতে কিছু আটকে আছে বোধ হওয়া ইত্যাদি প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ।
অ্যাডভান্সড স্টেজে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যন্ত্রণা তলপেট থেকে পুরো কোমরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা হলো কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি। এ ছাড়া ক্রায়োসার্জারিও করা যায়। এ ছাড়া রয়েছে হরমোন থেরাপি ও আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি। এসব চিকিৎসা পদ্ধতিতে কাজ না হলে অস্ত্রোপচার করাই উত্তম। সম্পাদনা:জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :