মাজহারুল ইসলাম : এর ফলে ৫৫ জেলায় নারী কোটা পূরণ হয়নি। মাত্র ৪৭ শতাংশ নারী শিক্ষক এবং ৫৩ শতাংশ পুরুষ শিক্ষক চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। অথচ পুরুষ শিক্ষকের কোটা ২০ শতাংশ। আর পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ। এবার ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থী নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্যে নারী শিক্ষক ৮ হাজার ৫৭০ এবং পুরুষ শিক্ষক ৯ হাজার ৫৭৭ জন। কোটা হিসাবে ২ হাজার ৩১৮ জন নারী শিক্ষক কম নির্বাচিত হয়েছেন। ইত্তেফাক
নারী কোটা পূরণ না হওয়ায় এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশনও দায়ের করা হয়। এই রিটের শুনানি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, নারী শিক্ষক কম নির্বাচন করা হলেও বিধিমালার ব্যতয় হয়নি। কারণ ওইসব জেলায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। নীতিমালার দ্বিতীয় অংশের যুক্তি তুলে ধরে কর্মকর্তরা আরও বলেন, যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সাধারণ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণের কথা বলা আছে নীতিমালায়। এ ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, রিট পিটিশন দায়ের করার পর এখন আমাদের কী করণীয়, তা ঠিক করা হবে। যেসব উপজেলায় ফল নিয়ে রিট পিটিশন হয়েছে শুধু সেসব জেলার নিয়োগ ছাড়া অন্য কোথাও নিয়োগে বাধা আছে বলে মনে হয় না। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব