সাইফুর রহমান : সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পরমানু শক্তিধর প্রতিবেশী দু’দেশের মাঝে দা-কুমড়ো সম্পর্ক লেগেই আছে। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা, বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অভিযান, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং সর্বশেষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে সেই তিক্ততায় যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। এমন বৈরিতার মধ্যেই চলতি বছরের শেষদিকে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছে ভারত। এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তিনি জানান, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এসসিও’র আট সদস্য দেশ, চার পর্যবেক্ষক দেশসহ আলোচনার সঙ্গী সব দেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতি বিষয়ক আট সদস্যের এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে চীন। সদস্য দেশ হিসেবে ২০১৭ সালে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এছাড়া পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে রয়েছে আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়া। পাশাপাশি আলোচনার অংশীদার ৬টি দেশ হলো আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল, তুরস্ক ও শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান আদৌ সম্মেলনে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও ভারত-পাকিস্তানের বাইরে এসসিও সম্মেলনে মোদী-ইমরানের মুখোমুখি হওয়ার নজির রয়েছে। যেখানে মোদী বারবার পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।