শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ১৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৩:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুবি’তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ শিক্ষার্থীর

বিল্লাল হোসেন, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আলী রেজওয়ান তালুকদারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সের এক শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করেন।

বুধবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোঃ আবু তাহের ও ইংরেজি বিভাগের প্রোগ্রাম পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ই জানুয়ারি ভুক্তভোগী ছাত্রী সান্ধকালীন কোর্সের অধীনে পরীক্ষা দিতে বিভাগে আসেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময় তাদের সবার ফোন জমা রাখতে বলা হয়। একথা শুনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ছাত্রী মোবাইলসহ ভ্যানিটি ব্যাগ বাহিরে রাখে। পরীক্ষা শেষে ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে দেখে মোবাইলের সিম অদল বদল করা এবং মেমোরি কার্ডের জায়গায় নষ্ট একটি মেমোরি কার্ড লাগানো৷

শিক্ষার্থী জানান, বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষককে ফোন করলে তিনি ফোন তুলেননি। তখন আমি বুঝতে পারি শিক্ষকের অনেক অনৈতিক প্রস্তাবে আমি রাজি না হওয়ার তথ্য এ মোবাইলে ছিলো। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি অভিযোগ করি। তিনি অভিযোগে বলেন, তাকে সরাসরি অনৈতিক প্রস্তাবের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভাগের নিজস্ব রুমে এমনকি শহরে শিক্ষকের নিজস্ব বাসায় যাওয়ার জন্য ডাকতেন।

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হলে শিক্ষার্থীকে সান্ধকালীন কোর্স নিয়ে ভাবতে হবে না। ছাত্রী অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারনে উক্ত শিক্ষক ছাত্রীর মোবাইলে অনেক ডকুমেন্ট ছিলো বিধায় সেই প্রমানগুলো নষ্ট করার জন্য সবকিছু মুছে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে সমস্যায় আছে বলে জানানো হয় অভিযোগে।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী জানান, বিভাগীয় প্রধান প্রথমে আমাকে সিআর হিসেবে নির্বাচন করে। বিভিন্ন সময় আমাকে রুমে ডাকতেন। বিভাগের রুম ছাড়াও আমাকে ব্যক্তিগত রুমে ও শহরের বাসায় ডাকতেন।

পরবর্তীতে আমাকে প্রলোভিত করার জন্য বিভিন্ন মেসেঞ্জার থেকে হোয়ার্টস এপে ডাকত ও ব্যক্তিগত অনেক কিছু বলতো। আমি তার বিষয়গুলোতে সাড়া না দেওয়ায় আমার ফোন থেকে সব নিয়ে মুছে দেয়।

শিক্ষার্থী আরো জানান, 'আমি এবিষয়ের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সর্বোচ্চ বিচার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি করছি। আশা করছি প্রশাসন বিষয়টা আমলে নিবে।'

এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি এবং ডরমেটরিতে শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। পরিক্ষার খাতা দ্বিতীয় পরিক্ষকের কাছে না পাঠিয়ে নিজেই দেখা ফেলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগেও শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইংরেজি বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী জানান, 'আমাদের বিভাগীয় প্রধান এর আগেও বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে রাত কাটানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া খাতা দেখা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগে খাতা দেখা নিষিদ্ধ ছিলো।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহাম্মদ আলী রেজওয়ান তালুকদার বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে উদ্দশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ যেহেতু দেওয়া হয়েছে তা প্রমাণ করলে বিষয়টি বুঝা যাবে।’

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইংরেজি বিভাগের সান্ধ্য কোর্সেরর প্রোাগ্রাম পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। সান্ধ্য কোর্সও সাথে যারা আছেন সবাইকে নিয়ে বসহ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘ইংরেজি বিভাগের সান্ধ্য কোর্স অধ্যয়নরত এক ছাত্রীক যৌন হয়রানির অভিযোগ পেয়েছি। উপাচার্যের সাথে আমি কথা বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’সম্পাদনা: জেরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়