তাপসী রাবেয়া: বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখনও অফিসিয়ালি কোনো প্রস্তাব পাইনি। প্রস্তাব পেলে বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা তো এখন নিজেরাই সরাসরি আমদানি করছি। তারপরও যদি সুইটেবল হয় দেখা যাবে।
গত সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হকের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের জ্যেষ্ঠ এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। ভারত বিদেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজার টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের মাত্র ৩ হাজার টন নিয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায়।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানির পর বিপদে পড়েছে দেশটির সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানির পর বেশিরভাগ রাজ্য সরকার তাদের চাহিদা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এ বিপদ দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় এসব পেঁয়াজ পঁচে যাওয়ার আগে কম দামে বাংলাদেশকে গছিয়ে দিতে চাচ্ছে ভারত। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :