শাহানুজ্জামান টিটু: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর তিনি বলেন, ঈদের দিনে যদি নির্বাচন হয়, পূজার দিন যদি এটা হয়। এটা সরকারের একদম ঘাফেলতি এবং ব্যর্থতা।
ভোটের তারিখ পরিবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কর্মসূচি পালন সর্ম্পকে ড. কামাল হোসেন বলেন, নীতিগতভাবে তো আমরা পক্ষে। নির্বাচনে সরকারের দলীয় প্রার্থী, মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করা এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী জনসংযোগে বাধা ও হামলা প্রমাণ করে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।
এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।দেশের জনগণ নির্বাচনের পক্ষে। কারণ এর মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রে তার মালিকানা নিশ্চিত করতে পারে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই মালিকানা নিশ্চিত হবে না।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এই বৈঠকিএ কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, শেয়ার বাজারকে নানা কারসাজির মাধ্যমে ধবংস করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সর্বশান্ত করে অর্থ লুন্ঠনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। দেশের অর্থনীতি এমন ভয়ংকর অবস্থায় গেছে যে, একজন পিতা মাত্র ৬০০০ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে নিজ কন্যাকে ধষর্ণের জন্য তুলে দিয়েছে পাওনাদারের হাতে। সরকার যখন উন্নয়নের ঢোল পেটাচ্ছে তখন মানুষের অভাব এবং অসহায়ত্ব কোনো পর্যায়ে গেছে এই ঘটনা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির আসম আবদুর রব, সা ক ম আনিসুর রহমান খান, সানোয়ার হোসেন তালুকদার, বিএনপির আবদুল মঈন খান, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, ড. জাহিদ-উর রহমান, মমিমুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারা নুরুল আমিন ব্যাপারী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :