শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৪১ সকাল
আপডেট : ১৬ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ ১০ খাতে

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের  ১০টি সম্ভাবনাময় খাতে কত কর্মীর চাহিদা রয়েছে, ভবিষ্যতে কতটা কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, কেমন দক্ষতার কর্মী লাগবে, তা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছিল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-বিআইডিএস।

১.তৈরি পোশাক

বর্তমানে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৪৯ লাখ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে৷ বিআইডিএস-এর গবেষণা অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ তা বেড়ে প্রায় ৯১ লাখে দাড়াবে৷ এর মধ্যে দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন হবে ৫০ লাখ ২৭ হাজার৷

২.টেক্সটাইল

টেক্সটাইল বা বস্ত্র খাতে ৩০ লাখ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে বর্তমানে৷ আগামী পাঁচ বছরে যা ৫৭ লাখে ঠেকবে৷ প্রায় দেড় কোটি শ্রমিক লাগবে ২০৫০ সালে৷

৩.কৃষি-খাদ্য

বাংলাদেশের কৃষি-খাদ্য খাতে এখন প্রায় ২৪ লাখ শ্রমিকের চাহিদা৷ ২০২৫ সালে যা বেড়ে ৪৪ লাখে পৌছাবে৷ ২০৫০ সাল নাগাদ এই খাতে এক কোটি ১৬ লাখ কর্মী লাগবে৷

৪.নির্মাণ

নির্মাণ খাতে ২০১৮ সালে প্রায় ৩৭ লাখ শ্রমিকের চাহিদা ছিল৷ যা ক্রমশ বেড়ে ৬৭ লাখে পৌছাবে ২০২৫ সাল নাগাদ৷ সেখানে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে ১৫ লাখ ৪০ হাজার৷ আগামী ৩০ বছরের মধ্যে অদক্ষ, দক্ষ, আধাদক্ষ মিলিয়ে এই খাতে মোট এক কোটি ৭৬ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

৫.হালকা প্রকৌশল

২০২০ সালের জন্য হালকা প্রকৌশল পণ্যকে ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার৷ বর্তমানে এই খাতে প্রায় ছয় লাখ শ্রমিক রয়েছে৷ ২০২৫ সাল নাগাদ সেখানে শ্রমিকের চাহিদা আরো চার লাখ বাড়বে৷ যার মধ্যে ৮০ ভাগই দক্ষ হতে হবে৷ সব মিলিয়ে ২০৫০ সালে হালকা প্রকৌশলে দুই কোটি ৬৯ লাখ কর্মী প্রয়োজন হবে৷

৬.স্বাস্থ্য

২০১৮ সালে স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা সেবায় কর্মীর চাহিদা ছিল ১০ লাখ৷ যা ১৯ লাখে পৌছাবে ২০২৫ সালে৷ ২০৫০ সাল নাগাদ স্বাস্থ্যসেবা অর্ধকোটির বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের যোগান দিতে পারে৷

৭.তথ্য-প্রযুক্তি

তথ্য প্রযুক্তিখাতে বর্তমানে কর্মীর চাহিদা প্রায় দুই লাখ৷ ২০২৫ সালে নাগাদ যা বেড়ে প্রায় চার লাখ হবে৷ ২০৫০ সালে আট লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হবে এই খাতে৷

৮.জাহাজ নির্মাণ

বর্তমানে দেশে জাহাজ নির্মান শিল্পে শ্রমিকের চাহিদা প্রায় ষাট হাজার৷ ২০২৫ সাল নাগাদ তা দুই লাখ ছাড়িয়ে যাবে৷ এর মধ্যে সাড়ে ২১ হাজার দক্ষ, সাড়ে ৯৭ হাজার আধাদক্ষ আর এক লাখ ১৭ হাজার অদক্ষ কর্মী লাগবে৷

৯.চামড়া শিল্প

এই শিল্পে এখন প্রায় এক লাখ আঠারো হাজার কর্মীর চাহিদা রয়েছে৷ ২০২৫ সালে তা বেড়ে দুই লাখ আট হাজার হবে৷ প্রয়োজন হবে ১৭ হাজার দক্ষ, ১৬ হাজার নয়শো আধাদক্ষ আর এক লাখ ৭৩ হাজার দক্ষ শ্রমিক৷

১০.পর্যটন

বর্তমানে হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম খাতে ৪০ হাজার কর্মসংস্থানের চাহিদা রয়েছে৷ এটি বেড়ে সত্তর হাজার হবে ২০২৫ এ৷ ২০৫০ সাল নাগাদ এক কোটি ৮০ হাজার মানুষের কাজের যোগান দিতে পারবে পর্যটন শিল্প৷

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়