তন্নীমা আক্তার : গতকাল ঢাকায় সূর্য উঠায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। যদিও রংপুর বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু অঞ্চলে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহে আবারও তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে, গত নভেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত শীতজনিত রোগ শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে (এআরআই) ৬০ হাজার ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ডায়রিয়া এবং শীতজনিত রোগে মারা যায় ২০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৫ সেলসিয়াস। এ দিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ২ সেলসিয়াস। ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ছিলো ১৪ দশমিক ২, সিলেটে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২, রাজশাহীতে সর্বনি¤œ ৯ দশমিক ৮, রংপুরে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৮, খুলনায় সর্বনিম্ন ১৩, এবং বরিশালে ১২ দশমিক ৩ সেলসিয়াস। এসব জেলার মধ্যে সিলেট ছাড়া অন্য জেলাগুলোতে আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা ২ থেকে ১ ডিগ্রি বেড়েছে। আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ কমলেও এখনও বেশ কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। আজ আরও কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ কমতে এবং তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী সপ্তাহে আবারও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, গত ২ মাসে সারাদেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৭৪ জন। এদের মধ্যে মার যায় ৪ জন। এ ছাড়াও শীতজনিত রোগে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ১৫০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা যায় ৩০ জন।
জানা যায়, শীতজনিত কারণে শিশু এবং বয়স্করা বেশি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীত এবং ধুলায় বাড়ছে ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এসব থেকে বাঁচতে গরম পানি পান এবং ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম