ইমরুল শাহেদ: মত বিরোধের কারণে রফিক সিকদার পরিচালিত বসন্ত বিকেল ছবির পাবনা লোকেশন থেকে শুটিং অসমাপ্ত রেখেই ঢাকা চলে আসেন প্রবীণ অভিনেত্রী সুচরিতা। তিনি ঢাকা ফিরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে রফিক সিকদারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের বিচার চেয়ে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে শিল্পী সমিতি নির্বাহী পরিষদের বৈঠক করে বিষয়টি পরিচালক সমিতির কাছে বিচারের জন্য হস্তান্তর করে। অভিযোগপত্রে সুচরিতা বলেছেন, পরিচালক রফিক সিকদার তাকে গালমন্দ করেছে। তিনি বিষয়টির সুষ্ঠু বিচার চান।
এ প্রসঙ্গে সুচরিতা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বসন্ত বিকেল ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল। সে অনুসারে শুটিংয়ের জন্য পাবনা যাই। পরিচালক রফিক সিকদার অসদাচরণ করায় শুটিং রেখে চলে আসতে বাধ্য হই। এর বেশি কিছু বলতে চাইনা। এ ব্যাপারে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেছেন, ব্যাপারটা খুবই নিন্দনীয় এবং দুঃখজনক। রফিক সিকদার একজন জুনিয়র পরিচালক হিসেবে কিভাবে এ রকম একজন সিনিয়র শিল্পীর সঙ্গে অসদাচরণ করার সাইস পান, সেটা ভাবতেও অবাক লাগে। আমরা সাংগাঠনিকভাবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। অন্যদিকে রফিক সিকদার পাবনা থেকে ইউনিট নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ফিরেছেন। তিনি বলেন, ‘সুচরিতা আমার মা-মাসি তুলে গালমন্দ করায় আমি তার ওপর চড়াও হয়েছি। তিনি একজন সম্মানিত শিল্পী হয়ে এমন ধরনের আচরণ করেছেন, যা কোনো একজন শিল্পীর মুখে শোভা পায় না। কিন্তু মতবিরোধ যাই হোক আমার অনুমতি না নিয়ে তিনি লোকেশন ত্যাগ করেছেন। এটা পরিচালক সমাজের জন্যই অপমানজনক বলে আমি মনে করি। এছাড়া তার কারণে আমাকে শুটিং অসমাপ্ত রেখে লোকেশন থেকে চলে আসতে হয়েছে। এজন্য আমার প্রযোজক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আমি পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির কাছে সেই ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিযোগ করব।’ তিনি বলেন, ‘তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সুচরিতা দুর্ব্যবহার করেছেন, যা কারো পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ঘটনাটি ঘটেছে আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে এবং প্রপস নিয়ে। আমি জানতে গেলে তিনি আমার ওপর চড়াও হন।’ রফিক প্রশ্ন তোলেন, বিচারের ভার যখন পরিচালক সমিতির হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে তখন শিল্পী সমিতি কিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে কোনো শিল্পী বিচার না হওয়া পর্যন্ত বসন্ত বিকেলের শুটিং ও ডাবিং করতে পারবে না? তিনি বলেন, ‘সময়ের কারণে আমার ছবির মেরিট নষ্ট হলে সে দায়িত্ব কি শিল্পী সমিতি নেবে?’
আপনার মতামত লিখুন :