শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০২০, ১০:০২ দুপুর
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২০, ১০:০২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় পরিচয়পত্রে আগে লেখা হতো স্বশিক্ষায় শিক্ষিত, এখন লেখা হয় স্নাতকোত্তর

মাজহারুল ইসলাম : প্রাপ্তি এটুকুই। কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ৩ বছর পর এমনই বললেন গোপালগঞ্জের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম। ২০১৭ সালে আল-হাইআতুল উলয়া লি-জামিআতিল কওমিয়ার প্রথম ব্যাচের পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তার মতো আরও প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা দিয়ে মাস্টার্সের সমমান লাভ করেছেন। এদের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র অংশ চাকরি পেয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন

কিন্তু বেশিরভাগ উত্তীর্ণরাই রয়ে গেছেন স্ব-স্ব পেশায়। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, ইমামতি ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যোগদান ইত্যাদি কর্মকান্ডে। আরেকটি ক্ষুদ্র অংশ রয়েছেন, যারা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। এছাড়া, স্বল্পসংখ্যক ছাত্র উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে ভারত, কাতার, সৌদি আরব, মিশরসহ কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আল-হাইআতুল উলয়া লি-জামিআতিল কওমিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রথমবার দাওরায়ে হাদিসের সরকারিভাবে মাস্টার্সের সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১৯ হাজার ২৮৭ জন। এর মধ্যে স্টার মার্ক (মুমতাজ) প্রথম (জায়্যিদ জিদ্দান), দ্বিতীয় (জায়্যিদ) ও তৃতীয় বিভাগে (মকবুল) মোট ১৫ হাজার ৩২০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। ২০১৮ সালে ৪ বিভাগে উত্তীর্ণ হন ১৪ হাজার ৫৩৩ জন। ২০১৯ সালে ২৬ হাজার ৭৮৮ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে চার বিভাগে পাস করেছেন ১৯ হাজার ৭৯ জন। আর এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেন ২০ হাজার ৭৩৮ জন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের সাবেক পরিচালক ড. জুবায়ের আহমেদ জানান, এই প্রকল্পে ১৮০০ নিয়োগ পাওয়া আলেমের মধ্যে ৯১০-১৫ জন কওমি কোটায় নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০১৮ সালে ৩০ আগস্টের আগে। এরপর ওই প্রকল্পে আর কোনও নিয়োগ হয়নি। ইফাবার প্রভাবশালী একজন পরিচালক এ গনমাধ্যমকে বলেন, নতুন প্রকল্প আসার আগে আর কোনও আলেম নিয়োগের সম্ভাবনা নেই। তবে ইফাবার সাবেক পরিচালক জুবায়ের আহমেদ বলেন, শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের বাইরে অন্যকোনও প্রকল্পে কওমি আলেমদের নিয়োগ হয়নি।

কওমি মাদ্রাসার আলেমরা বলছেন, স্বীকৃতির পর যে সময় অতিবাহিত হয়েছে, তাতে মূল্যায়ন বা মন্তব্য করার সময় আসেনি। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কওমি আলেমদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কীভাবে ফলপ্রসূ হবে, তার জন্য আরও ৭/৮ বছর অপেক্ষা করতে হবে। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়