শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:১৫ সকাল
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে ১২ কোটি টাকা লোপাট

ডেস্ক রিপোর্ট  : বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নোটিশ মন্ত্রণালয়ের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাকে আগামী ২০ জানুয়ারি কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছে।

অভিযোগের ব্যাপারে দুদক সূত্র জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে যন্ত্রপাতি ও এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের কাজ পছন্দের ঠিকাদারকে পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিত্সা, শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। থাইল্যান্ডের থমসট ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত বাংলাদেশি ড. শেখ আলতাফুর রহমানের মাধ্যমে লুটপাটের এ ঘটনা ঘটেছে বলে দুদক প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে। ড. শেখ আলতাফুর রহমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের এপিএস ড. শেখ আরিফুর রহমানের ভাই।

 

অনুসন্ধান সূত্রে আরো জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৈদেশিক প্রশিক্ষণের জন্য ১৯টি বিষয়ের আওতায় ৩১টি প্যাকেজে ৪২৬ জনের নামে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানী ভাতা বাবদ ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ টাকা এবং বিমান ভাড়া বাবদ ২ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। এর বাইরে টিউশন, ইনস্টিটিউশনাল ও প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট ব্যয় হিসেবে ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ১১ হাজার ৪৭২ টাকা ধরা হয়েছে। সব মিলে বিদেশে প্রশিক্ষণ বাবদ ২১ কোটি ৭২ লাখ ২৯ হাজার ১৪৭ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রশিক্ষণের জন্য জনপ্রতি ৪ হাজার ডলার অথবা ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। পৃথক দেশের প্রতিষ্ঠান হলেও সবগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় একই ধরা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ছাড় করা এ-সংক্রান্ত বিল পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পাবলিক হেলথের বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ায় ৫৬ জনের প্রশিক্ষণের জন্য ১ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু টাকা পাঠানোর জন্য যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেওয়া হয়, সেটি থাইল্যান্ডের থমসট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব গ্লোবাল স্টাডিজের। এই প্রতিষ্ঠানের ফ্যাকাল্টি সদস্য ড. শেখ মোহাম্মদ আলতাফুর রহমান।

সূত্র- ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়