আকতার বানু আলপনা : কিছু কিছু বিষয়ে এখন আর আমার প্রতিক্রিয়া জানাতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় কোনো লাভ নেই। নিরর্থক। সব অনাচারে ডুবে যাচ্ছে। উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই রেপের খবর পড়ে এখন আর আমার উদ্বেগ জানাতে ইচ্ছা করে না। নিরপরাধ কাউকে আক্রান্ত হতে দেখলে আমার আর প্রতিবাদ করতে ইচ্ছা করে না। শিক্ষক/শিক্ষিকারা অছাত্রদের দ্বারা আক্রান্ত/অপমানিত হলে প্রতিকার চাইতে ইচ্ছা করে না। অনিয়ম, অনাচার, লুটপাট, অব্যবস্থাপনার খবর পড়ে এখন আমি আর বিচলিত হই না। শিক্ষার নিম্নমুখী মান ঠেকাতে ও শিশুদের শৈশব রক্ষার জন্য পিইসি/জেএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি বাতিলের জন্য আমার এখন আর লেখালেখি করতে ইচ্ছা করে না ইত্যাদি।
কারণ এখন কেউ ভালো কথা শোনে না। যে যার নিজের ধান্দায় ব্যস্ত। ক’দিন ধরে ধর্ষক মজনুর চেহারা নিয়ে হাস্যকর সব পোস্টগুলো দেখে দেখে খুবই বিরক্ত হয়েছি। আমাদের চিন্তার কূপম-ুকতা দেখে তীব্রভাবে হতাশও হয়েছি। কারণ চোর, ডাকাত, ঘুষখোর, রেপিস্ট, নির্যাতক, লুটপাটকারী এদের আলাদা কোনো চেহারা হয় না। তারা সবাই দেখতে অবিকল মানুষের মতো। আপনার-আমার মতো অতি সাধারণ, অতি স্বাভাবিক মানুষের মতো। অপরাধীদের চেহারা আর সব মানুষদের চেয়ে আলাদা হলে তো আর থানা-পুলিশ, কোর্ট-কাচারির কোনো দরকার পড়ে না। চেহারা দেখেই অপরাধী শনাক্ত করে শাস্তি দেয়া সম্ভব। এই সহজ কথাটা না বুঝলে কাকে কী বলবো? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :