শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:০১ সকাল
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা

শাহীন খন্দকার : স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা একদিন কমলেই পরদিনই বাড়ছে। সংখ্যাটা এখনও শূন্যে নেমে আসেনি। এদিকে গত বছরের রেশ এখনও রয়ে গেছে।

আইইডিসিআর জানায়, দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি। চলতি বছরের শুরুতেই হাসপাতালে রোগী ছিলো ২২ জন। এরমধ্যে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলো ১৭ জন, বাকি ৫ জন আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। তার ঠিক দুই দিন (৪ জানুয়ারি) পরে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিলো ২১ জন।

৮ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ছিলো ৯৮ জন। অথচ গত বছরের (২০১৯) জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো ৩৮ জন, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ছিলো ১৫ জন, ২০১৫ সালে জানুয়ারিতে রোগীর সংখ্যা শূন্য থাকলেও ২০১৬ সালে ১৩ জন, ২০১৭ সালে ৯২ জন ও ২০১৮ সালে ছিলো ২৬ জন।

এদিকে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম ১৩ দিনে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৪৫ জন রোগী। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ৯৯ জন রোগী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর প্রধান বাহক হিসেবে এতোদিন এডিস মশাকে বলা হলেও গত বছরে অ্যালবোপিকটাস মশার মাধ্যমেও ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। যে কারণে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু।

এডিস মশাকে রাজধানীকে ধরে নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্ত্রী এডিস মশা এক সঙ্গে ৬০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। ডিমগুলো শুকনো অবস্থায় এক বছর পর্যন্ত জীবন্ত থাকে। আর পানির স্পর্শ পেলেই সেগুলো থেকে মশার জন্ম হয়। স্ত্রী মশা একদিন পর পর ডিম দেয়।প্রতিবার ডিম দেয়ার আগে মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়।

আইইডিসিআর-এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, বছরের কোনও কোনও সময় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও সেটা একেবারেই চলে যায় না।

তিনি আরও বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী মশানিধন অভিযান বছরজুড়েই চালাতে হবে। এটা ‘সিজনালি’ করলে হবে না। আর রোগী সংখ্যা যদি একটা লেভেল পর্যন্ত রাখা যায়, তাহলে কখনোই কন্ট্রোলের বাইরে যাবে না।’’ ডা. মাহমুদুর রহমান আরও বলেন,‘ডেঙ্গু থাকবে। তবে চলতি বছরে গত বছরের মতো প্রকট হওয়ার আশঙ্কা কম। কারণ, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে।’ তবে মশানিধনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়