রাশিদ রিয়াজ : ভারতে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে শেষবার মুদ্রাস্ফীতির হার এতটা বৃদ্ধি পেয়েছিল। প্রথম বারের জন্য কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে ৭.৩৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। তার পরে অবশ্য তা কমতে থাকে। এমনিতেই মন্দার মধ্যে দিয়ে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতি। আর তার মধ্যে সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে বৃদ্ধির রেকর্ড গড়ল মুদ্রাস্ফীতি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৩৫ শতাংশ। নভেম্বর যা ছিল ৫.৫৪ শতাংশ। যার অর্থ, মাত্র এক মাসে খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ১.৮১ শতাংশ।
সোমবার জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর এনএসও প্ৰকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ডিসেম্বর মাসে শুধুমাত্র খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.১২ শতাংশ হারে। অথচ এক বছর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তা ছিল -২.৬৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, নভেম্বরে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ১০.০১ শতাংশ। শাকসবজি ছাড়াও শস্য, মাংস এবং মাছের দামও ডিসেম্বরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যার হাত ধরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির এই রেকর্ড উত্থান।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে শেষবার শেষবার মুদ্রাস্ফীতির হার এতটা বৃদ্ধি পেয়েছিল। প্রথম বারের জন্য কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে ৭.৩৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। তার পরে অবশ্য তা কমতে থাকে।
জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি ৪ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখার কেন্দ্রকে টার্গেট দিয়েছে রিজার্ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। ডিসেম্বরে সেই সীমা অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। এ দিকে, মুদ্রা নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতিকে প্রাথমিক মাণদণ্ড হিসেবে ধরে আরবিআই। মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় গত ডিসেম্বরে বিগত পাঁচ বারের মতো আর সুদের হার কমানোর পথে যায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে বার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার ঠিক কয়েক দিন পরে ৬ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ব্যাংক পরবর্তী মুদ্রা নীতি ঘোষণা করবে। মুদ্রাস্ফীতির এই প্রবণতা অব্যহত থাকলে সুদের ক্ষেত্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফের কড়াকড়ি শুরু করতে পারে বলে মত অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের।
আপনার মতামত লিখুন :