সওগাত আলী সাগর : শরীয়ত বয়াতি প্রচলিত আইনের পরিপন্থী কোনো কাজ করেছেন কিংবা অপরাধ করেছেন- এমন কোনো তথ্য মিডিয়ায় পাওয়া যায়নি। পুলিশও এমন দাবি করেনি। তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো কেন? আদালত কোন বিবেচনায় ১০ দিনের রিমান্ড দিলেন? রিমান্ড মানে তো অপরাধীকে অপরাধ স্বীকারে বাধ্য করার প্রক্রিয়া। শরীয়ত বয়াতির অপরাধটা কী? ‘কোন কিতাবে লেখা আছে- হারাম বাজনা গান’- এমন একটা গান ছোটো বেলা থেকেই আমরা শুনে এসেছি। পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে বয়াতি এই প্রশ্নটাই করেছেন এবং সঙ্গে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। সেই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করার একজন মানুষও কি দেশে নেই? এই যে এতো সব ‘ওয়াজিন’দের ওয়াজের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায়, তাদের কেউ? রাষ্ট্র এতে সম্পৃক্ত হলো কেন? রাষ্ট্রের যদি মনে হয়, সরকারের যদি মনে হয়- বয়াতি ঠিক বলেননি- তাহলে তথ্য প্রমাণ দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
তাকে গ্রেফতার করতে হবে কেন? ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বয়াতি, সেই ধর্ম ব্যবসায়ীদের ‘ঠেঙ্গারে বাহিনী’র ভূমিকায় রাষ্ট্র তথা সরকার নামলো কীভাবে? পুলিশ মানেই কিন্তু সরকার তথা রাষ্ট্র। এখন সরকার হচ্ছে আওয়ামী লীগ। দায়টাও তাই আওয়ামী লীগেরই। সরকারের অনুমোদন ছাড়া পুলিশ বয়াতিকে গ্রেপ্তার করেনি। সরকারের আগ্রহ ছাড়া আদালত বয়াতিকে রিমান্ড দেয়নি। খেয়াল করবেন, বয়াতি সমালোচনা করেছেন ধর্ম ব্যবসায়ীদের। ধর্ম ব্যবসায়ীরা ঠেঙ্গারে বাহিনী দিয়ে বয়াতির ওপর হামলা চালায়নি। বরং সরকারকে, সরকারের পুলিশকে তাদের ‘ঠেঙ্গারে বাহিনী’ হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমরা যতোই ‘অতি উৎসাহী তত্ত্ব’ কিংবা ‘অনুপ্রেবশকারী তত্ত্ব’ আওড়াই না কেন- দিন শেষে দায় দায়িত্ব সরকারের কাঁধেই চাপে। প্রশ্ন করার অপরাধে একজন বয়াতির ওপর নেমে আসা জেল জুলুমের দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সরকারের কাঁধেই যায় কিন্তু। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :