মুসা কলিম মুকুল : যখন তখন তুমি অন্যের ধর্মের দেবদেবী নিয়ে যা-তা বলে বেড়াবে, অথচ তোমার জামায়াতি চিন্তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললেই কারাগার, ফাঁসি, চাপাতি! শরীয়ত বয়াতিকে রিমান্ডে নেওয়ার ওয়াহাবি-জামায়াতি এজেন্ডা কেন বাস্তবায়ন করবে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ রাষ্ট্র? রাষ্ট্রের মূলনীতি, রাষ্ট্রের শেকড় কি উঁইপোকায় খেয়ে ফেলেছে? শরীয়ত বয়াতির মতো বাংলায় অসংখ্য বাউল, সাহিত্যিক, পটচিত্রকর, পালাকার রয়েছেন যারা নিজ নিজ তরিকায় ধর্ম পালন করেন। তারা কোরআনে সঙ্গীত বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা খুঁজে পাননি।

ওয়াহাবী জামায়াতি মতাদর্শ যাদের ভালো লাগে না, যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে একচেটিয়া সুদের ব্যাংকিং কারবার পছন্দ করেন না, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষালয়ে বলাৎকার-অনাচারের ঘটনা যাঁরা চেপে যেতে পছন্দ করেন না, যারা অন্যের মাথা দিয়ে চিন্তা না করে নিজের প্রজ্ঞার বিকাশ ঘটাতে চান- তাদের ধর্মবিশ্বাসের কি কোনো দাম নেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাছে? তাদের কারাগারে পাঠানোর জামায়াতি এজেন্ডা কেন বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ রাষ্ট্র?
বাংলার মানুষ চোখে অশ্রু নিয়ে মিলাদ পড়ছেন, শবেবরাত ও মিলাদুন্নবীতে গরিবদের মাঝে শিরনি বিতরণ করছেন, আর ইসলামী ব্যাংকওয়ালারা এসব ধর্মীয় কাজকে যত্রতত্র টিটকারি দিচ্ছেন, নাফরমানি বলে গালি দিচ্ছেন মহা আনন্দে, মাইক বাজিয়ে। রাষ্ট্র তখন কোথায় থাকে? ধর্মপ্রাণ নারীরা যখন ঘরের বাইরে জীবিকার সন্ধানে ফেরেন আর তাদের পেটে লাথি মারার ফতোয়া দেয়া হয়, রাষ্ট্র তখন কোথায় থাকে? শরীয়ত বয়াতিদের বিগত কিছু বছর ধরে জামায়াতিরা বিস্তর অপমান করবার সুযোগ পেয়েছেন। তারা তাদের মতামত তুলে ধরতে মুখ খুললেই কারাগার? শরীয়ত বয়াতি কারাগারে কেন? জামায়াতি এজেন্ডাই কেন বাস্তবায়ন করবে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ? কেন? কেন? কেন? ফেসবুক থেকে