সিরাজুল ইসলাম: ইরানের ছয়টি বেলেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র তাদের দিকে ছুটে আসছে- বাগদাদে আল-আসাদ সামরিক ঘাটিতে হাড় কাঁপানো শীতে এমন খবর আসে রেডিও ট্রান্সমিশনে। তখনই তারা প্রস্তুতি নিতে থাকেন। সিএনএন
স্টাফ সার্জেন্ট আকিম ফার্গুসন বলেন, বাঙ্কারের মুখে তারা কংক্রিটের স্ল্যাব ব্যবহার করেছিলেন। তিনি হাতে বন্দুক ধরে মাথা নিচু করে রেখেছিলেন। তিনি ভাল জায়গা খুঁছিলেন। তিনি মনে মনে তার মেয়েদের সঙ্গে গান গাইতে শুরু করেন। তিনি অপেক্ষা করছিলেন যা-ই ঘটুক, তা যেন দ্রুত ঘটে। মরার জন্য একশ’ শতাংশ প্রস্তত ছিলেন তিনি।
৮ জানুয়ারি ওই হামলার পর অন্য সেনা ও ঠিকাদারদের সঙ্গে অক্ষত ছিলেন ফার্গুসন। কয়েক দশকের মধ্যে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে সব চেয়ে বড় হামলা ছিল সেটা। ওই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া অলৌকিক ঘটনা ছাড়া আর কিছুই না।
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই সতর্ক সঙ্কেত পেয়েছিলেন সেনারা; যা তাদের আত্মরক্ষার জন্য সহায়ক হয়। তারা ক্ষেপনাস্ত্রের বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন আগের ঘাঁটির কারণেই। তারা সেখানে কোনও স্থাপনা নির্মাণ করেননি।
ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্টি হওয়া একটি গর্ত তারা পরিমাপ করেছেন। এটি দুই মিটার গভীর এবং তিন মিটার ব্যাস ছিলো।ওই ঘাঁটিতে ড্রোন অপারেটর ও পাইলটদের আবাসস্থল ছিলো। হামলার আগে তাদের সরিয়ে নেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :