দেবদুলাল মুন্না: ঋত্বিক ঘটক সুচিত্রা সেনকে বলেন ‘ অন্নদাশঙ্কর রায় তো তোমার জ্যাঠা, তাকে জিজ্ঞেস করো, শেখ মুজিব কে ? সুচিত্রা চুপ। ঋত্বিক বলেন, ‘ শেখ মুজিব আমার ভাই। আমি ওইদেশ ছেড়ে চলে এসেছি। কিন্তু মুজিব আমার মতো বাঙালীদের জন্যই লড়ছেন।’ আনন্দবাজারকে সাক্ষাতকারে সুচিত্রা সেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন। পরে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বিচিত্র চিত্রিত সুচিত্রা’ বইতে এসব কথা জানান।
সময় ১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর, দুপুর। কোলকাতার পার্ক স্ট্রিটের এক জায়গায় জটলা। অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন যাচ্ছিলেন গাড়িতে। দেখেন,পরিচালক ঋত্বিক ঘটক,কবি শক্তি চট্রোপাধ্যায় এরা জড়ো হওয়া মানুষের কাছে হাত পাচ্ছেন। আর একটা টুলে বসে গিটার বাজিয়ে বব ডিলানের গান গচ্ছে এক বিদেশি তরুণ । সুচিত্রা খেয়াল করলেন ঋত্বিকের পিছনে একটা ব্যানারে বড় করে লেখা : “বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য দান করুন, শেখ মুজিবের পাশে থাকুন।” ব্যানারের পাশেই একটা বড় বাক্স, সেখানে রাস্তার মানুষ টাকা ফেলে যাচ্ছে।
সুচিত্রা এগিয়ে যেতেই ‘এলেই যখন, দুটো টাকা দিয়ে যাও’, বলে ঋত্বিক হাত বাড়ালেন। লজ্জায় মাথা নিচু করে সুচিত্রা বললেন ‘ছিঃ দাদা। এমন করে বলছেন কেন? আমি কি দূরের কেউ ?’। বলেই কড়কড়া কয়েকটা ১০০টাকার নোট দিলেন ঋত্বিকের হাতে। ঋত্বিক জানান,গিটার বাজানো তরুণটি মার্কিন সাংবাদিক স্টিভ টার্নার। কবি অ্যালান গিনসবার্গও কলকাতা এসেছেন। বারাসাত শরনার্থী শিবিরে গিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :