শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৪৮ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মতবিনিময়ে তথ্য, ৭ মন্ত্রণালয়ের চাপে নিষ্পেষিত হন মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাগরিকসেবা দিতে সাত মন্ত্রণালয় ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার বিষয়টি তুলে ধরে স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন, মেয়ররা মন্ত্রণালয়গুলোর চাপে থাকেন। এ জন্য মেয়রদের ক্ষমতা ও কাজের পরিধি বাড়ানো দরকার। গতকাল রবিবার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘নিরাপদ, নারীবান্ধব ঢাকা মহানগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে নারী কাউন্সিলরদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন। দৈনিক আমাদের সময়

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেখা চৌধুরী সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘একজন মেয়রের কী ক্ষমতা আছে? ঢাকা শহরের মেয়র ৩০ লাখ ভোটারের ভোটে নির্বাচিত হন। তারা দুজন মেয়র ১৬ এমপির সমান ভোট নিয়ে নির্বাচিত। কিন্তু মেয়র মাত্র তিনটি কাজ করতে পারেন। ইলেকট্রিক পোলের বাল্ব বদলাতে পারেন; পোলটি এক ইঞ্চি নড়াতে বা সরাতে পারেন না। আরেকটি কাজ হচ্ছে-তিনি রাস্তা পরিষ্কার করতে পারেন। তিন নম্বর কাজ হচ্ছে-উনি ট্যাক্স কালেক্ট করবেন।’

সাতটি মন্ত্রণালয় ঢাকা সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে জনগণের সেবা দিতে সাতটি মন্ত্রণালয় পাগলের মতো কাজ করে। তাদের প্রায় ৫৪টি প্রতিষ্ঠান আছে। সাত মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেক মন্ত্রী মনে করেন, এখানে আমিই বেশি ক্ষমতাশালী। সাত মন্ত্রণালয়ের প্রেসারের কারণে নিষ্পেষিত হন মেয়র।’

মোবাশ্বের আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরের মেয়রের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাশালী মফস্বলের মেয়র বা চেয়ারম্যান। কারণ মফস্বলের মেয়র বাড়ির প্ল্যান পাস, পানির সংযোগ দেন। কিন্তু ঢাকার মেয়রের এ ক্ষমতা নেই। এখন মেয়রকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। ক্ষমতায়নের প্রথম ধাপ হচ্ছে-ওই সাতটি মন্ত্রণালয়ের ওপরে মেয়রকে ঝাঁপির মতো থাকতে হবে। তা না হলে আপনাকে তারা কিছু দেবে না। মন্ত্রীদের কথা বাদই দিলাম। এসব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী; তারা কিছুতেই ক্ষমতা হাতছাড়া করতে চান না।’ ঢাকা নগরীর উন্নয়নে পুরুষ কাউন্সিলরদের মতো নির্বাচিত নারী কাউন্সিলরদেরও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান মোবাশ্বের হোসেন।

১৫ বছর ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন শামসুন নাহার ভূঁইয়া। পুরুষদের পাশাপাশি কাজ করে আসা এ নারী কাউন্সিলর দায়িত্ব পালনে নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের জন্য কমিটি করা হয়। এসব কমিটিতে নারী ২-৩ জন ছাড়া বাকি সবাই পুরুষ। অথচ নারী কাউন্সিলররা নির্বাচনের মাধ্যমে এই পদে আসেন।’

সিটি করপোরেশনের প্রতিটি কাজে নারীদের সমান সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণ মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুন নাহার।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬, ১৭, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও প্রার্থী নারগিস মাহতাব বলেন, ‘আমরা একজন পুরুষের চেয়ে মেধা-শ্রম বেশি দিয়ে থাকি। আমি তিনটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। একটি ওয়ার্ডের পুরুষ কোনো কাউন্সিলরের সমান সুযোগ দিলে তো হবে না। আমাকে তিনটি ওয়ার্ডের কথা চিন্তা করে মানুষের সেবা করতে সুযোগ দিতে হবে।’

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মিনু রহমান বলেন, ‘অর্থের অভাবে কাজ করতে পারি না। তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে আমি, কিন্তু বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক স্বল্পতা থাকে। কিন্তু আমরা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসি। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার।’

মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘তিরানব্বই সাল থেকে নারীরা বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে কাজ করে আসছেন। কিন্তু এত বছর পরও কাক্সিক্ষত অবস্থায় যেতে পারেননি। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আগে আমাদের নিজেদের পরিবর্তন দরকার। নিজেদের শক্তি ধরে রাখতে হবে। তা হলেই নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়