শিরোনাম
◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:১০ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় কোম্পানিগুলো অংশ নিতে পারছে না বাংলাদেশের টেন্ডারে

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের সরকারি কেনাকাটার জন্য যে টেন্ডার ডাকা হচ্ছে তাতে ভারতীয় কোম্পানিগুলো অংশ নিতে পারছে না বলে দেশটি অভিযোগ করেছে।ভারতের অভিযোগ, বাংলাদেশের সরকারি কেনাকাটায় যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে,সেটির কারণেই তাদের কোম্পানিগুলো বাদ পড়ে যাচ্ছে। এখন তাদের কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কেনাকাটায় উল্লিখিত শর্ত তুলে দেওয়ার সুপারিশ জানিয়েছে দেশটি।বাংলাদেশ প্রতিদিন

শুধু তা-ই নয়, বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রæপের (সিডব্লিউজি) সভায় ইস্যু হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আজ থেকে দিল্লিতে সভাটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, পিপিআর-সংক্রান্ত ভারতের ইস্যুটি সচিব কমিটির সভায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কারণ এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইস্যু নয়। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটকে (সিপিটিইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সূত্র জানায়, ভারতীয় হাইকমিশন সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়ে জানায়, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের টেন্ডারে অংশ নিতে গিয়ে তাদেও কোম্পানিগুলো প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। হাইকমিশনের দাবি, বাংলাদেশে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেশন (পিপিআর) ২০০৮ নামে সরকারি কেনাকাটার যে নীতি আছে, সেটিতে উল্লিখিত শর্তের কারণেই এটি ঘটেছে। পিপিআর অনুযায়ী, কোনো দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচক ০ দশমিক ৮-এর নিচে হলে ওই দেশের কোম্পানি টেন্ডারে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

এ ছাড়া কেনাকাটায় উপকরণ সরবরাহের ক্ষেত্রে কান্ট্রি অব অরিজিনের বিষয়টিও বাধা বলে মনে করছে ভারত। এ ক্ষেত্রে পিপিআর নীতির আরও তিনটি ক্লজ উল্লেখ করে হাইকমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, পিপিআরের ৪.৫, ২৯.২ এবং ২৯.৩-এ বলা আছে, সরকারের কেনাকাটা হবে অসীমাবদ্ধ, পরিষ্কার ও উন্মুক্ত। কিন্তু বাস্তবে মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকের র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট নির্দিষ্ট করে দিয়ে ভারতের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের দরপত্রে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

সরকারি যে টেন্ডারগুলোতে ভারতীয় কোম্পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে সেগুলোর তালিকাও দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, এলজিইডির প্রকিউরমেন্ট অব ড্রাম ভাইব্রেটরি রোড রোলার, বিআরটিএর পলি কার্বনেট স্মার্টকার্ড মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স, পিজিসিবির টাইপ টেস্টিং অব ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের আরমার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার, বিসিআইসির শাটিং লোকোমোটিভ ফর শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট, বিএসএফআইসির ডিস্টিলারি প্লান্ট, বায়োগ্যাস প্লান্ট এবং বায়ো কম্পোস্ট প্লান্ট, পায়রা বন্দরের জন্য একটি বয়া লায়িং ভ্যাসেল, একটি টাগ বোট, বিআইডব্লিউটিএর জন্য ড্রেজার, ক্রেন এবং বোট ও ইঞ্জিন জেনারেটর সরবরাহ।

ভারত বলছে, চিঠিতে উল্লিখিত টেন্ডারগুলোর কমপক্ষে দুটিতে মানবসম্পদ সূচক রেটিং (এইচডিআই) এবং বাকিগুলোতে ‘কান্ট্রি অব অরিজিন’-এর শর্তের কারণে অংশ নিতে পারছে না তাদের দেশের কোম্পানি। জানতে চাইলে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারতের অভিযোগের কোনো যৌক্তিকতা তারা দেখছেন না। পিপিআরের শর্তগুলো বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার তাগিদেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, কোনো দেশকে আটকানোর জন্য নয়।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বানের জন্য যে পিপিআর নীতি রয়েছে, সেটি সব দেশের সব কোম্পানির জন্য সমান। শুধু ভারতের জন্য পৃথকভাবে কোনো শর্ত যুক্ত করা হয়নি। ফলে তাদের জন্য পৃথক কোনো সুবিধা (শর্ত ছাড়াই টেন্ডারে অংশগ্রহণ সুবিধা) দেওয়ার সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পিপিআর, ২০০৮ অনুযায়ী সরকারি টেন্ডারে কোনো দেশ অংশ নিতে চাইলে তাদের এইচডিআই বা মানবসম্পদ সূচকে কমপক্ষে ৮ স্কোর থাকতে হয়; বিশ্বের অনেক দেশই এটি অনুসরণ করছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের রেটিং ৪-এর কম। এ ছাড়া যে দেশ পণ্য সরবরাহ করবে, সেই পণ্যটি যাতে তাদের নিজ দেশে উৎপাদিত হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য কান্ট্রি অব অরিজিনের শর্ত দেওয়া থাকে। সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যাতে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যে পিপিআরে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়। অনুলিখন: শাহীন খন্দকার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়