চিররঞ্জন সরকার : চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, বেশি তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের করে ক্ষতি। আর অভিজ্ঞতা বিজ্ঞান বলে, বেশি তেল মারা আনে সফলতা ও উন্নতি। বর্তমানে তেলবাজি ছাড়া সমাজ চলে না। রাষ্ট্র চলে না। যোগ্যতার তেমন কোনো মূল্য নেই। কে কতো বেশি তেল দিতে পারেন তাই এখন যোগ্যতার মাপকাঠি। আমাদের দেশে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও শাসকেরা তেলবাজিকে বড় বেশি মূল্য দেন। সামনে যেতে হলে একমাত্র যোগ্যতা হচ্ছে তেলবাজি।
ব্যবসা, বাণিজ্য, নেতৃত্ব, পোস্টিং, প্রমোশন এসবই তেলবাজির বৃত্তে আটকে গেছে। যারা বুক চিতিয়ে জোর গলায় বলেন, আমি তেল পছন্দ করি না, তেল মারতে পারি না তারা আসলে সত্য বলেন না। আসল ব্যাপার হলো তিনি তেল মারা খুবই পছন্দ করেন, গোপনে তিনি তেল ঠিকই মাখেন, কিন্তু অন্যের তুলনায় তা যথেষ্ট বলে বিবেচিত হয় না। কিংবা কোনো কারণে তেলে কাজ হয় না। তেলে কাজ না হলে আমরা খামোখাই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠি। তেলের উপর ঝাঁজ মেটাই। তেলদাতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করি। তেল মারতে পারি না বা তেল মারা পছন্দ করি না এ কথা বলা আসলে তেল মারার সুযোগ না পাওয়া বা তেল মেরেও কাজ না হওয়ার ব্যর্থতাজনিত ক্ষোভ বা রোষ। এটা আমাদের বুঝতে হবে। উপলব্ধি করতে হবে। কাজেই মুখে যে যা-ই বলি, আসলে আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি তেলবাজ। দক্ষতা আর কার্যকারিতার ঘাটতি থাকতে পারে। তাই বলে তেলবিমুখ কেউই নই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :