শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:১১ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহত কর্মীকে দেখিয়ে ইশরাক: ‘এ হলো সম্প্রীতির রাজনীতির নমুনা’

দেশ রূপান্তর : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনী প্রচারে বাধা, হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ করে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বলেছেন সম্প্রীতির রাজনীতি চান তিনি। কিন্তু সম্প্রীতির রাজনীতির নমুনা হচ্ছে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা’।

রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গোপীবাগে ইশরাকের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তুলে ধরার সময় এ সব বলেন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন দলের মনোনীত প্রার্থী ফজলে নূর তাপস। তিনি সাংবাদিকদের সম্প্রীতির রাজনীতির কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, ‘তিনি সম্প্রীতির রাজনীতির কথা বলছেন তো, আসলে উনি যদি সম্প্রীতির রাজনীতি মিন করে থাকেন, সত্যিকার অর্থে বলে থাকেন, তাহলে ওনার উচিত এসব অতি উৎসাহী যারা আছে, আজকে থেকে যেন তাদের নিবৃত্ত করেন। এটা যদি তিনি করেন, তাহলে আমরা ভাবব সত্যিকার অর্থেই তিনি সম্প্রীতির রাজনীতির কথা বলেছেন’।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের কর্মী শান্তকে অহত অবস্থায় নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বিকেলে গণসংযোগ চলাকালে হামলার শিকার হন বলে বিএনপি জানায়।

এ সময় ইশরাক আহত ওই কর্মীকে দেখিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ হচ্ছে সম্প্রীতির রাজনীতির নমুনা। আপনারা তো দেখতেই পাচ্ছেন আমাদের কর্মীদের ওপর কেমন হামলা হচ্ছে। এটাই হচ্ছে তথাকথিত সেই সম্প্রীতির রাজনীতি’।

তিনি বলেন, ‘এসব হামলার বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেব। আমরা প্রতিকার চাইব। এর আগেও চেয়েছি। ২০১৫ তে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে যারা, তাদের ব্যাপারে আমার আর কিছুই বলার নেই। আমরা অভিযোগ দিয়ে যাব। নির্বাচন কমিশন যদি আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেন তাহলে ভালো হয়। যদি না নেন তাহলেও আমরা কোনো কিছুতে বাধাগ্রস্ত হব না। আমাদের প্রচার কাজ চালিয়ে যাব। কোনো কিছুকেই আমরা বাধা মনে করব না’।

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি আছে সেটি তারা (আওয়ামী লীগ) প্রতিনিয়ত ভঙ্গ করে চলেছে। এখানে প্রশাসনের কিছু স্থানীয় কর্মকর্তা তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে আমরা যখন অভিযোগ করছিলাম, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিকার পেয়েছি’।

ইশরাক বলেন, ‘এর আগে বংশাল এবং ওয়ারী থানায় যখন আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়, তখন ডিসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে এ হামলার ঘটনাগুলো ঘটছে এবং কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা এতে সহযোগিতা করছে’।

এ হামলাগুলো দ্বারা তারা কী বার্তা দিতে চাচ্ছে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বার্তাটা তো সুস্পষ্টভাবে শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি যে, একটা দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যখন এসব কথা বলছি তখন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা উপহাস করে কথা বলত যে, বিএনপি অভিযোগ করছে, নালিশ পার্টি, তারা হতাশ হয়ে গিয়েছে ইত্যাদি। এ জন্য আমরা অভিযোগ দিতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু যেহেতু এতগুলো ঘটনা ঘটেছে তাই আপনাদের অবহিত করার জন্য আজকে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছি’।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ইশরাক জানান, ‘আজ (রবিবার) সূত্রাপুর ও কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমার নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগের কর্মসূচি ছিল। ঢাকা জজকোর্ট এলাকা থেকে এই প্রচার শুরু করে তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার হয়ে নয়াবাজারে মধ্যাহ্ন বিরতি দেওয়া হয়। বিরতির পর সেখান থেকে পুনরায় প্রচার চালানোর সময় পুলিশ অহেতুক আমাদের কয়েকজন কর্মীকে হয়রানি করতে থাকে। সে সময় আমি সরাসরি গিয়ে হস্তক্ষেপ করায় পুলিশ নিবৃত্ত হয়। কিন্তু গণসংযোগ চালিয়ে আমি সামনে এগিয়ে গেলে পেছন থেকে আমার চার কর্মীকে আটক করে। এ খবর শোনামাত্র আমি বংশাল থানায় যাওয়ার উদ্যোগ নেই। কিন্তু তখন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, কাউকে আটক করা হয়নি’।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে খবর আসে ওয়ারী থানার অধীন বলধা গার্ডেন এলাকায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ কর্মীকে (১. আরিফ, ২. সুমন, ৩. জুয়েল, ৪. বাবু ও ৫. সেলিম) ধানের শীষের পোস্টার লাগানোর সময় পুলিশ আটক করে। পরে আমি সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এর পরপরই পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়’।

ইশরাক আরো বলেন, ‘হাজারীবাগ পার্কের সামনে থেকে আমার প্রচার কাজ চালানোর সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা রিকশার গতিরোধ করে দুজন কর্মীকে মারধর করে মাইক ও মাইকের সরঞ্জাম রেখে দেয় এবং পরবর্তীতে থানা পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেয়। প্রায় একই সময় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর যোগীনগর রোডে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী মেহেরুন নেসা’র নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় শ্রমিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হন’।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ’৬২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ানগর এলাকার যাত্রাবাড়ী থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইয়ামিন, ইয়াছিন ও ইমনকে ধানের শীষের পক্ষে পোস্টার লাগানোর কারণে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি এহসান মামদুদ, নিখিল চন্দ্র শ্রাবন ও সিরাজ ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শেষে গোপীবাগ আসার পথে যোগীনগর এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয় তারা’।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ’২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাহিদা মোর্শেদের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. তামিম ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিবসহ অন্যরা প্রচার না করার হুমকি এবং তার বাসায় গিয়ে নেতাকর্মীদের দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখে। নূরফাতে আলী লেনে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতৃত্বে পুলিশসহ তার নেতাকর্মীদের নিয়ে সাহিদা মোর্শেদের প্রচার বাধাগ্রস্ত করে এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির চশমা নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে’।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়