শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৩:৪২ রাত
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৩:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে বিচ্ছিন্ন হামলা ও বিএনপি কর্মীদের আটকের অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রচার প্রচারণার তৃতীয় দিন

শিমুল মাহমুদ : রোববার প্রচার প্রচারণা শেষে গোপীবাগের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ৩৮নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী মেহেরুন নেসা’র নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। তার বাসা ও অফিসের আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। হামলায় শ্রমিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হয়।

৬২নং ওয়ার্ডে নয়ানগর এলাকার যাত্রাবাড়ী থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইয়ামিন, ইয়াছিন ও ইমন’কে ধানের শীষের পক্ষে পোষ্টার লাগানোর কারণে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়।
কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এহসান মামদুদ, নিখিল চন্দ্র শ্রাবন ও সিরাজ ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শেষে গোপীবাগ আসার পথে যোগীনগর এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয়।

২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাহিদা মোর্শেদ-এর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. তামিম ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিবসহ অন্যরা প্রচারণা না করার হুমকি এবং তার বাসায় গিয়ে নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ ৫(পাঁচ) ঘণ্টা আটকে রাখে।

আওয়ামী লীগ কর্মীরা ৪১নং ওয়ার্ডের ধানের শীষের পক্ষে মাইকিং করার সময় মাইক ভাংচুর করে এবং মারধর করে আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে যায়। ইশরাক বলেন, এর আগে বংশাল এবং ওয়ারী থানায় যখন আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়, তখন ডিসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলার পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। স্থানীয়ভাবে এ হামলার ঘটনাগুলো ঘটছে এবং কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা এতে সহযোগীতা করছে।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করে বলেছেন, প্রতিপক্ষের লোকজন জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক বলেন, এসব হামলার বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিব। আমরা প্রতিকার চাইবো। এর আগেও চেয়েছি। নির্বাচন কমিশন যদি আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেন তাহলে ভালো হয়। যদি না নেন তাহলেও আমরা কোনো কিছুতে বাধাগ্রস্থ হব না। আমাদের প্রচার কাজ চালিয়ে যাব। কোনো কিছুকেই আমরা বাধা মনে করবো না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়