আক্তারুজ্জামান : এ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। ওই আসরে ভারতীয় দলে যাক পেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন শিলিগুড়ির রিচা ঘোষ। যাকে নিয়ে স্থানীয় ক্রিকেটমহল অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। এই ডানহাতিকে বলা হচ্ছে আগামী দিনের তারকা। স্বয়ং রিচা যদিও অভিভূত নয়। বরং স্বপ্ন সফলের দিনে বাস্তবের মাটিতে পা রাখতেই পছন্দ করছে। খবর : আনন্দবাজার।
বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ছিল। চেষ্টা করছিলাম দলে আসার। এসেছি। ভাল লাগছে। একেবারেই নিরুত্তাপ গলায় কথাগুলো বলছিলেন রিচা। মাঠে রিচার পরিচিতি বিগহিটার হিসেবে। রাজ্যের নারী দলের কোচ শিবশঙ্কর পাল বললেন, ‘অসাধারণ ট্যালেন্ট। যদি মাথা ঘুরে না যায়, যদি লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারে, তাহলে অনেক দূর যাবে। ওর যা ব্যাটিংয়ের ক্ষমতা, তাতে দেশের অন্যতম সেরা হবে। ও হল বিগহিটার। বড় শট মারতে পারে।
ফিনিশার ধোনিকে ভাল লাগে। নিজেও যে ম্যাচ ‘ফিনিশ’ করতে পারে, তার নমুনা দেখা গিয়েছে চ্যালেঞ্জার ট্রফিতেই। প্রিয় ব্যাটসম্যান অবশ্য ধোনি নন। নন ওপেনিংয়ে ধুমধাড়াক্কা মারা রোহিত শর্মাও। রিচার আদর্শ এমন একজন ক্রিকেটার যিনি নিজেও কম বয়সে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। অবধারিতভাবেই তিনি শচিন টেন্ডুলকার। ১৫ বছর বয়সে টেস্টের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন লিটল মাস্টার।
রিচা অবশ্য শুধুই ব্যাটিং করে তা নয়। বরং এমন প্রশ্ন রাখাই যায় যে, রিচা ঠিক কী করে না? ব্যাট হাতে যেমন শুধু মিডল অর্ডারেই নামে না, প্রয়োজনে ওপেনিংও করতে পারে। আবার নতুন বল হাতে মিডিয়াম পেসেও যথেষ্ট দক্ষ। নিয়মিত উইকেটও আসছে। এমনকি উইকেটকিপার হিসেবেও দিব্যি চালিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ ব্যাটিং-বোলিং-কিপিং, মিলিয়ে রিচার থ্রি-ডি ক্রিকেটার হয়ে ওঠা স্বাভাবিকই।
আপনার মতামত লিখুন :