কূটনৈতিক প্রতিবেদক: রোববার (১২ জানুয়ারি) আবুধাবির উদ্দেশ্য বিকেল ৫টার কিছু সময় পরে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকাল ১১টায় ‘আবুধাবি সাসটেইনাবিলিটি সপ্তাহ’ এ যোগ দিবেন তিনি। এদিন বিকেলে ‘দূত সম্মেলনে’ অংশ নেবেন। বাহরাইন, ইরান, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতরা এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স আল নাহিয়ান এবং স্থপতি ও রাষ্ট্রপতির স্ত্রী শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারাক আল কেতবির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন শেখ হাসিনা। এ দিন বিকেলে ‘দি ক্রিটিক্যাল রোল অব ওমেন ইন ডেলিভারিং ক্লাইমেট’ বিষয়ক কী নোট সাক্ষাৎকার পর্বে অংশগ্রহণ করবেন। এরপর স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় দেশের উদ্দেশ্য আবুধাবি ত্যাগ করবেন।
আবুধাবিতে অনুষ্ঠেয় আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিবেন জানিয়ে কূটনৈতিক সূত্র বলছে, হাইপ্রোফাইল বৈঠকে জনশক্তি, বিনিয়োগ-বাণিজ্য, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বন্দর, শিল্প পার্ক, এলএনজি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎকেন্দ্র অগ্রাধিকার পাবে। একাধিক দ্বিপাক্ষি বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি সমাঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, এ সফরে শ্রমশক্তি রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা হবে। বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও উভয় দেশের দূতাবাসের জমি বিনিময়ে হতে পারে চুক্তি সই, মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে ‘দূত সম্মেলনে’ নির্দেশনা দিবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া ঢাকায় ক্লাইমেট এডাপ্টেশন সেন্টার তৈরি হতে যাচ্ছে। শিগগিরই অনেক ধরনের পদক্ষেপ আমরা অন্যদের জানাতে পারবো এবং অন্যদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পারবো।
আপনার মতামত লিখুন :