দেবদুলাল মুন্না: পাকিস্তানী রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সালমান রাফি শেখ গতকাল বার্তা সংস্থা সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলেন, ‘ ইরানের সাথে ভবিষ্যতে যে কোন সংঘাতের ক্ষেত্রে পাকিস্তান যদি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হয়, তাহলে পাকিস্তানে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির মধ্যে কট্টর বিভাজন আরও বেড়ে যাবে। আফগানিস্তানের যুদ্ধে যেভাবে পাকিস্তানের সুন্নী গ্রুপগুলোর মধ্যে চরমপন্থা সৃষ্টির জন্য সরাসরি দায়ী, তেমনি ইরানে যুদ্ধ লাগলে সেটাও প্রধান শিয়া গ্রুপগুলোর মধ্যে সামরিক তৎপরতা সৃষ্টির জন্য একটা আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে দেবে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ৩৬-৬৪ মিলিয়ন শিয়া রয়েছে, এবং এর মধ্যে পাকিস্তানেই রয়েছে ২৫ মিলিয়ন।
ইরান যদিও এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে দেখছে না, তবে এতে কোন সন্দেহ নেই যে পাকিস্তানের শিয়া গ্রুপগুলোর তেহরান ও বাগদাদের সাথে শক্ত যোগাযোগ রয়েছে। সত্য হলো, ইরাকে সোলায়মানির জানাযার নামাজ যিনি পড়িয়েছেন, সেই আয়াতুল্লাহ বাশির নাজাফিও একজন পাকিস্তানী শিয়া।
বালুচিস্তান এলাকার সিনেটর হাসিল বেজেঞ্জো বলেছেন, “পাকিস্তানের একটা বড় শিয়া জনগোষ্ঠি রয়েছে এবং ইসলামাবাদ যদি ওয়াশিংটনের পক্ষ নেয়, তাহলে দেশের মধ্যে সা¤প্রদায়িক হানাহানি শুরু হয়ে যাবে”।পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের সাথে ইরানের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং সে কারণে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :