শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০২০, ০৪:৫৮ সকাল
আপডেট : ১২ জানুয়ারী, ২০২০, ০৪:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরব আমিরাতে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশি একটি পরিবার

মাজহারুল ইসলাম : পাঁচ সদস্যের ওই পরিবারের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অর্থাভাবে তারা ভিসা নবায়ন করাতে পারেননি। এর ফলে যেকোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। পরিবারের প্রধান জুবাইর কামরান ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেছেন ভারতের মুম্বইয়ের ফাতিমাকে। ফাতিমার আগের নাম ছিলো কাঞ্চন। ইসলাম গ্রহণের পর তাদের বিয়ে হয়। সূত্র : মানবজমিন

তিন দশক ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন ফাতিমা। তাদের ৩ সন্তান সালমান (১৮) এবং যমজ ২ ভাই মোহাম্মদ ও আহমদ (১৩) পড়াশোনা করে আরব আমিরাতের আজমানে। বর্তমানে আর্থিক সংকটের কারণে তাদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

অনলাইন গালফ নিউজ বলছে, পিতামাতার আর্থিক সংকটের জন্য তারা স্কুল ও কলেজের ফি শোধ করতে পারছে না। এমন অবস্থায় তাদের মা ফাতিমা মাঝে মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীর কম্পিউটারের ব্যবসা ছিলো। কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে সেই ব্যবসায় ধস নামে। এরপর থেকেই বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে আমাদের। আমাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কারণ, তা নবায়ন করার মতো অর্থ আমাদের নেই। অন্যের কাছ থেকে ধারদেনা করে বেঁচে আছি।

কথা বলতে বলতে তিনি দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। তবু ফাতিমা বলেন, আমাদের জীবন ভালোই চলছিলো। আমাদের কখনও কোনও চাহিদা অপূর্ণ ছিলো না। কিন্তু ২০১৭ সালে আমার স্বামী জুবাইরের ব্যবসায় মারাত্মক লোকসান হয়। সেই ক্ষতি আর তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এতে কম্পিউটার ব্যবস্থা গুটিয়ে ফেলতে হয়। তারপর থেকে চুলা জ্বালাতে আমাদেরকে জমিয়ে রাখা অর্থের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে শেষ দিরহামটি পর্যন্ত খরচ হয়ে গেছে। আমার স্বামী ও বড় ছেলে সংসারে সাহায্য করার জন্য কাজ খুঁজতে থাকে। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে কেউই কাজে নিতে রাজি হয় না।

ফাতিমা বলেন, এ অবস্থায় আজমানে একটি সেন্টারে আমি ক্লাস নেই। বিনিময়ে তারা আমাকে খাবারের কুপন দেয়। এ ছাড়া আমাদের বাসার সব সেবার লাইন যখন ডিসকানেক্ট করে দেয়া হয়, তখন এর বিল দিতে তারা আমাকে সাহায্য করেন। আমাদের এখন ভীষণভাবে সাহায্য প্রয়োজন। তা না হলে সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তারা দেশে ফিরলে সেখানে মানিয়ে নিতে পারবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়