রাশিদ রিয়াজ : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এখন বোমার উপর দাঁড়িয়ে আছে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে, ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য নৈহাটিতে বোমা তৈরি করছিল তৃণমূল। শনিবার নৈহাটি ছাইঘাটে বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শনে এসে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
এদিন অর্জুন সিং নৈহাটি ছাইঘাটের বিস্ফোরণ স্থল সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে বিস্ফোরণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এলাকা ঘুরে তিনি জানান, “দেবক গ্রামে যখন বিস্ফোরন ঘটল, তখনই আমি এনআইএ তদন্তের দাবি জানাই। আমরা এখানে এনআইএ তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছি। পশ্চিমবঙ্গ এখন বিস্ফোরকের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পুলিশের সাহায্যে এখনতো রাজ্যে বোমা তৈরি কুটির শিল্পে পরিণত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে পৌরসভা নির্বাচন আছে। সেই জন্য বোমা বানাচ্ছে তৃণমূল। যাতে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই বোমা ব্যবহার করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে যেতে বাধা দিতে পারে।আর দেবক গ্রাম থেকে সেই বোমা সারা রাজ্যে রফতানি হত।
শুধু তাই নয়, অর্জুন সিং আরও জানান, ”এখানে এনআইএ তদন্ত করলে অনেক নাটক বাজদের মুখোশ বিশেষ করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাবে। তাই তথ্য প্রমাণ লোপাট করবার জন্য, পুলিশ একসঙ্গে সব বিস্ফোরক গুলো পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে এর ফলে সাধারন মানুষ আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছে। এখানে তদন্তের নামে যা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ লোক দেখানো নাটক চলছে। এখানে দ্রুত এবং সঠিক তদন্তের দরকার রয়েছে। যারা এই বিস্ফোরক তৈরি করছে আর যারা এগুলো তে সাহায্য করছে তদন্ত করে দ্রুত সেই দোষীদের খুঁজে বার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।”
এদিকে, ছাইঘাটে ঘটা বিস্ফোনের ৩ দিন পর শনিবার ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল। তাঁরা ওই বিস্ফোরণ স্থল পরীক্ষা করে দেখেন। শুক্রবারও সিআইডি’র এক তদন্তকারী দল নৈহাটি ছাইঘাট সংলগ্ন ওই বিস্ফোরন স্থলে এসে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। এবং তথ্য প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য গঙ্গার পারের ওই বিস্ফোরন স্থলটি প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিয়ে যান।
কিন্তু, শুক্রবার রাতে গঙ্গায় জোয়ার আসার ফলে ওই বিস্ফোরণ স্থলে গঙ্গার জল ভরে যায়। ফলে, শনিবার বিস্ফোরণস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করতে পুলিশের ফরেন্সিক দলের বিশেষজ্ঞদের বেগ পেতে হয়। তদন্ত করতে আসা ওই বিশেষজ্ঞরা এদিন বিস্ফোরণ স্থল ঘুরে দেখে এবং বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। এই বিষয়ে ফরেন্সিক দলের বিশেষজ্ঞরা জানান, “আমরা বিস্ফোরন স্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছি। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এখানে বাজি তৈরি মশলা ছাড়া আর কিছু ছিলো কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এখনই কিছু বলা যাবে না।” কোলকাতা ২৪
আপনার মতামত লিখুন :